শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কিউইদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় ভারত

আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৩১

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দল ভাবা হয়েছিল ভারতকে। সেই তারাই এখন সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায়ের শঙ্কায়। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজয়। এবার ভারতকে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হারালো নিউজিল্যান্ড।

রবিবার (৩১ অক্টোবর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১১০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় ভারত।

Image

জবাবে ১১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেছেন ডেরেল মিচেল। ৩৫ বলে সাজানো তার ইনিংসটিতে ছিল ৩টি ছয় ও ৪টি চারের মার। এছাড়া মার্টিন গাপটিল ২০ এবং ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কেন উইলিয়ামসন।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। দলীয় ১১ রানের সময় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান ইশান কিশান। এরপর ৩৫ রানের সময় আউট হন লোকেশ রাহুল ও ৪০ রানের মাথায় রোহিত শর্মাও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। আগের ম্যাচে পিলার হয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া অধিনায়ক বিরাট কোহলিও ৮ রান বাদেই ফিরে যান।

Image

কেউই ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেননি। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ২৩ ও রবীন্দ্র জাদেজার অপরাজিত ২৬ রানের কল্যাণে শত রানের কোটা পার হতে সক্ষম হয় ভারত। কিউই বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া সদি ২টি এবং সাউদি ও মিলনে একটি করে উইকেট নেন।

এই পরাজয়ের ফলে এখন বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের শঙ্কা জেগেছে ভারতের। দলটির সামনে এখন আরও তিনটি ম্যাচ বাকি, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। অন্যদিকে, প্রথম তিনটি ম্যাচ জিতে আগেই সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। তাদের পরের দুটি ম্যাচ স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। এর মধ্যে একটি জিতলেই সেমি নিশ্চিত। আর কিউইদের সামনের তিনটি প্রতিপক্ষই দুর্বল। সেগুলো জিতলেই তাদেরও সেমি নিশ্চিত। আর ভারত যদি ওই তিনটি ম্যাচ জিতে, তাহলেও তাদের বাদ পড়তে হবে।

ইত্তেফাক/টিএ