শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাশেজ রেখে দিল অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০০

ইংল্যান্ডকে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে ১৮৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে অ্যাশেজ নিজেদের কাছে রেখে দিল অস্ট্রেলিয়া। গতকাল টেস্টটির পঞ্চম দিনে পাওয়া এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল সফরকারীরা। ইংলিশরা শেষ টেস্টটি জিতলেও সিরিজ ড্র হবে।

৩৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষ দিনে জয়ের চিন্তা করাটা বোকামি, তাই ম্যাচ বাঁচাতে দাঁত কামড়ে ক্রিজে পড়ে থাকা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না ইংল্যান্ডের। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু প্যাট কামিন্সের সঙ্গে জোশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্কের গতি এবং নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে প্রতিরোধটা যথেষ্ট হলো না।

শেষ দিন ২ উইকেট হাতে রেখে ৩৬৫ রান করতে হতো ইংল্যান্ডকে। কিন্তু আর ১৭৯ রান করতেই বাকি উইকেটগুলো তারা হারায় অজিদের কাছে। ১৯৭ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। তাতে ২০০১ সালের পর প্রথমবার দেশের মাটিতে অ্যাশেজ জিততে ব্যর্থ হলো ইংল্যান্ড। অবশ্য সিরিজ ড্র করার সুযোগ তাদের সামনে। এজন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর লন্ডনের দ্য ওভালে শেষ টেস্টটি জিততেই হবে ইংল্যান্ডকে।

২ উইকেটে ১৮ রানে শেষ দিন খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের সঙ্গে ওপেনার জো ডেনলি ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ছিলেন। কিন্তু দিনের ১৭তম ওভারে রয়কে ফিরিয়ে এই প্রতিরোধ ভাঙেন আগের দিন জোড়া আঘাত হানা প্যাট কামিন্স। ৬৭ বলে চারটি চারে ৩১ রান করে বোল্ড হন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

৬৬ রানের এই জুটি ভাঙার পর লাঞ্চের কয়েক ওভার আগে কামিন্সের পেসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেয় অজিরা। হেডিংলি টেস্টের বীরোচিতপূর্ণ ইনিংস খেলা বেন স্টোকস এবার হাল ধরতে পারেননি। ১৭ বল খেলে ১ রানে কামিন্সের শিকার হন পেছনে টিম পেইনকে ক্যাচ দিয়ে।

৪ উইকেটে ৮৭ রানে লাঞ্চে যায় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ডেনলির প্রতিরোধ ভাঙেন লায়ন। ১২৩ বল খেলে ৬ চারে ৫৩ রান করে শর্ট লেগে মার্নাস ল্যাবুশ্যাগনের ক্যাচ হন ইংলিশ ওপেনার। নতুন দুই ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো ও জস বাটলারের জুটি বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিল অজিদের। কিন্তু ১৮.৫ ওভারের এই ৪৫ রানের জুটি ভেঙে ইংল্যান্ডকে আবার অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয় সফরকারীরা। ৬১ বলে ২৫ রান করে স্টার্কের কাছে এলবিডাব্লিউ হন বেয়ারস্টো।

অবশ্য ক্রেইগ ওভারটনকে সঙ্গে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করে গেছেন বাটলার। তাকে বোল্ড করে ২১.১ ওভারে ৩৪ রানের দারুণ প্রতিরোধ ভেঙে দেন হ্যাজেলউড। পরের ওভারে জোফরা আর্চারকে (১) লায়ন এলবিডাব্লিউ করলে অস্ট্রেলিয়ার দিকে ম্যাচ হেলে পড়ে। যদিও নবম উইকেটে লিচকে সঙ্গে করে ওভারটনের শেষ চেষ্টা উত্তেজনা ধরে রেখেছিল।

কিন্তু বোলার পাল্টাতেই ম্যাচ ঘুরে যায়। লিচকে ১৪ রানে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ বানিয়ে ১৪ ওভারে ২৩ রানের এই শক্ত জুটি ভেঙে দেন খণ্ডকালীন লেগ স্পিনার ল্যাবুশ্যাগনে। শেষ উইকেট নিতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি অজিদের। ৯ বল পর ওভারটনকে (৩২) ফেরান হ্যাজেলউড। ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ১১১ বলের প্রতিরোধ ভাঙলে জয় নিশ্চিত হয় অজিদের। তাতে ২০০১ সালের পর প্রথমবার ইংল্যান্ড থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না তাদের।

অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে কামিন্স সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন, দুটি করে পান হ্যাজেলউড ও লায়ন। দুই ইনিংসে ২১১ ও ৮২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন স্টিভেন স্মিথ।