সাইফুদ্দিন প্রথম বলেই আঘাত হেনেছিলেন। আর আফগানরা মিশন শুরু করল দ্বিতীয় বলে। মুজিবুর রহমানের বলে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন লিটন দাস। তাই ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে বাংলাদেশকেও শুরুতেই হোঁচট খেতে হলো।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা আফগানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত বল করেন সাইফুদ্দিন। তা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত স্বল্প রানে বাঁধা যায়নি আফগানদের। মোহাম্মদ নবীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয় আফগানরা। সাইফুদ্দিন ও সাকিব আল হাসানের পরপর আঘাতে শুরুতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল আফগানিস্তান। মাত্র ৬ ওভারের মধ্যে ৪০ রানে চার উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবী। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রান যোগ করেন এই দুজন।
এরপর সাইফুদ্দিন জোড়া আঘাত হানলেও মোহাম্মদ নবীর ব্যাট হাসতেই থাকে। ৩৮ বল থেকে ৪০ রান করে আসগর বিদায় নেন আসগর। আর নবী শেষ পর্যন্ত নবী ৫৪ রান থেকে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কার মারে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৩ রান দিয়ে সাইফ চারটি ও ১৮ রান খরচায় সাকিব দুটি উইকেট নেন।
চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলছে উভয় দল। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়েছে। দু’দলই তাদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছে। তাই এই ম্যাচে যারা জিতবে তারা ফাইনালে যাওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। সেই মিশনে দু’দলই প্রথম ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নেমেছে।
বাংলাদেশের জন্য এটি ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন। কারণ চলতি সফরে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলে আফগানিস্তান। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম সাক্ষাতেই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয় তারা। তাই আজকের ম্যাচ জিতে টেস্টে হারের ক্ষত কিছুটা হলেও মুছতে চাইবে সাকিব বাহিনী।
ইত্তেফাক/কেআই