অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। গেল মাসেই সাবেক হয়ে যাওয়া কোচ ট্রেভর বেইলিসের জায়গা নিতে যাচ্ছেন ক্রিস সিলভারউড। ইংল্যান্ড দলের পরিবেশ অবশ্য ৪৪ বছর বয়সী সিলভারউডের জন্য নতুন কিছু নয়। গেল দুটি বছর ধরে তিনি বেইলিসের অধীনে দলের ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়েই ইংল্যান্ড দল বিশ্বমানের একটি পেস আক্রমণ গড়ে তুলেছে। আসছে নভেম্বরে ইংল্যান্ড দল নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে। সিরিজে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও দুটি টেস্ট খেলবে দলটি। এটাই হবে সিলভারউডের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। ট্রেভর বেইলিসে কোনো সমস্যা ছিল না ইসিবির। তিনিই তো প্রথমবারের মতো ইংলিশদের বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন। কিন্তু, বেইলিস নিজে আর চুক্তির মেয়ার বাড়াতে রাজি নন।
শুরুতে সম্ভাব্য কোচ হিসেবে ওটিস গিবসন ও মিকি আর্থারের নাম বাতাসে ভাসছিল। এরপর কোচ হওয়ার লড়াইয়ে সিলভারউডের লড়াই ছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ গ্যারি কার্স্টেন ও কাউন্টি দল সারের ক্রিকেট পরিচালক অ্যালেক স্টুয়ার্টের সঙ্গে। তবে সিলভারউডের নাম খুব একটা উচ্চারিতই হচ্ছিল না। ইসিবির ছেলেদের ক্রিকেট বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলে জাইলস এই তিন জনের মধ্যে সবচেয়ে লো-প্রোফাইল হওয়ার পরও সিলভারউডকে বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি মনে করছেন, দলের সঙ্গে সিলভারউডের বোঝাপড়াটাই তাকে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দলকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যা দরকার সেটা ওর মধ্যে আছে। আর ওকে আমরা ভালোভাবেই চিনি। একই সঙ্গে আমাদের ব্যাপারে, আমাদের কাঠামোর ব্যাপারেও ওর ভালো ধারণা আছে। ওর সঙ্গে আমাদের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট ও সাদা বলের অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানের বোঝাপড়াও ভালো। আশা করি, ওর পরিকল্পনা সামনের কটা বছর আমাদের আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
সিলভারউড ইংল্যান্ডেরই সাবেক ক্রিকেটার। ১৯৯৬ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে তিনি জাতীয় দলের হয়ে ছয়টি টেস্ট ও সাতটি ওয়ানডে খেলেছেন। ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্টে যোগ দেওয়ার আগে ২০১৭ সালে তিনি এসেক্সকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ জিতিয়েছেন। অ্যাশলি জাইলস বলেন, ‘ও সবাইকে ছাড়িয়ে দলের কোচ হয়েছে। এটাই ওর সবচেয়ে বড়ো যোগ্যতা। আর এই সম্মানটা ও তখনই ধরে রাখতে পারবে যখন আমাদের দল তিন ফরম্যাটেই বাকিদের জন্য সমীহজনক হয়ে উঠবে।’ নতুন দায়িত্ব পেয়ে সিলভারউড নিজেও রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন. ‘এখানে প্রতিভার কোনো অভাব নেই। আর সেই প্রতিভাটাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাও আছে। আমাদের এখন থেকে আরো কঠোর পরিশ্রম শুরু। আশা রাখি, আমরা আসছে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ইতিবাচক ফল নিয়ে ফিরতে পারবো।’
ইত্তেফাক/এএম