জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ২১তম আসরের শুরু থেকেই খেলছেন জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। নির্বাচকদের ঘোষণা অনুযায়ী, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা এনসিএলের দুটি রাউন্ড খেলবেন।
সতীর্থরা খেললেও বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দেখা যাবে না এবারের এনসিএলে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ব্যস্ত সাকিব। ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের পরপরই সিপিএল খেলতে গিয়েছেন তিনি। শনিবার ভোর ৩টায় সিপিএলের ফাইনালে গায়ানা অ্যামাজনের মুখোমুখি হয়েছে সাকিবের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। ফাইনালের পর কয়েকদিনের মধ্যেই দেশে ফেরার কথা তার।
দেশে ফিরেও বিশ্রামে থাকবেন সাকিব। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান গতকাল বলেছেন, আরো বিশ্রাম প্রয়োজন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডারের।
বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর শ্রীলঙ্কা সফরে বিশ্রামে ছিলেন সাকিব। পরে আফগানদের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে খেলেছিলেন। তারপরই চলে গেছেন সিপিএলে। আগামী মাসে ভারত সফরে দুটি টেস্ট, তিনটি টি-২০ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ২৫ অক্টোবর শুরু হতে চলা জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকলেও এনসিএলে খেলবেন না সাকিব।
আরো পড়ুন: থানায় কেউ হয়রানি হলে ওসিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
শনিবার মিরপুর স্টেডিয়ামে আকরাম খান বলেছেন, ‘শুক্রবার পর্যন্ত সাকিবের এনওসি ছিল। এরপর ও আরো একটু বাড়িয়ে নিয়েছে। যেহেতু ওর দল সিপিএল ফাইনালে। আশাকরি ১৩ বা ১৪ তারিখে ফিরবে। তারও বিশ্রামের ব্যাপার আছে। এটা কোচের ওপর নির্ভর করবে। কোচের প্ল্যানই আমরা অনুসরণ করছি। কোচ বলেছেন যারা দুই ফরম্যাটে খেলবে তারা এনসিএলে দুই রাউন্ড খেলবে। কোচ যেটা বলবে সেটা। কোচের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিব।’
২০১৫ সালে শেষবার এনসিএলে খেলেছিলেন সাকিব। চার বছর পর আবার এনসিএল খেলার সুযোগ এসেছে তার। কিন্তু বিশ্রামে থাকার কারণে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা থেকে বিরত থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক। এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে আগামী ১৭ অক্টোবর।
ইত্তেফাক/বিএএফ