বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সিলেটে সেরার অপেক্ষায় মাশরাফি

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:০৫

নইলে স্বাভাবিক হিসেবে এটা বাংলাদেশের মাটিতে মাশরাফির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হওয়ার কথা। আগে থেকেই জানা ছিল যে, ২০১৯ বিশ্বকাপই হবে মাশরাফির শেষ টুর্নামেন্ট। এর মধ্যে আবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। ফলে বিশ্বকাপের পর খেলার সম্ভাবনাটা আরও ফিকে হয়ে গেছে। আর বিশ্বকাপের মধ্যে সিলেটের এ ওয়ানডের পর আর কোনো ওয়ানডে ম্যাচ নেই।

ফলে এটাই মাশরাফির দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ হওয়ার কথা। কিন্তু মাশরাফি আবারও বললেন, তিনি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চান না। বিশ্বকাপের পর অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। সিলেটের ম্যাচটার এই তাৎপর্য বাদ দিলেও অনেক গুরুত্ব তৈরি হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে যাওয়ায় এটা এখন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। মাশরাফি বলছিলেন, দেশের মাটিতে খেলা ব্যাপারটার সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে সিরিজ জিততে চেষ্টা করবেন তারা।

সিলেটের শিশিরকে নিয়ে একটু ভয় কণ্ঠে রেখেই মাশরাফি বললেন, ‘সব সময় ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতে গেলে সুবিধা বেশি থাকে। আত্মবিশ্বাস লেভেলও ভালো থাকত। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের আত্মবিশ্বাসের লেভেলও ভালো থাকবে। তবে এমন পরিস্থিতি আগেও হয়েছে, আমরা কামব্যাক করেছি। এখনো আমি মনে করি আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, সুযোগটা আমাদের নিতে হবে, চেষ্টা করতে হবে। শিশির একটু বেশি থাকবে ওখানে। আজকেতো ডিউ ছিলই না এখানে। সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে আর কি।’

আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ফিল্ডিং। শেষ ম্যাচে এই জায়গাটায় কোনো ভুল তারা করতে চান না। মাশরাফি বলছিলেন ফিল্ডিং নিয়ে অনুশীলনেই কোনো ঘাটতি তাদের নেই, ‘যদি অনুশীলন দেখেন, তাহলে বুঝবেন অনুশীলন কোন লেভেলের হচ্ছে। কোনো বিভাগে অনুশীলন না হলেও ফিল্ডিং অনুশীলন আমাদের নিয়মিত হয়। দিনশেষে মাঠে আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার থাকে। একটা ক্যাচ ড্রপ হলে মনের ভেতর অস্বস্তি থাকলে সহজ ক্যাচ অনেক সময় মিস হয়ে যায়। এটা আসলে টোটালি মেন্টাল ব্যাপার। পর পর দুই ম্যাচে আমরা অনেক ক্যাচ মিস করেছি। কিন্তু তারপরও এখান থেকে ইতিবাচক জিনিসগুলো নিয়ে আমরা পরবর্তী ম্যাচে নামতে চাই।’

সিরিজের শেষ ম্যাচ নিয়ে আলাপের পাশাপাশি মাশরাফির অবসর নিয়েও কথা এলো। আর সে প্রসঙ্গে সবসময়ের মতো নৈর্ব্যক্তিক উত্তর দিয়ে পার পাইতে চাইলেন মাশরাফি, ‘এটা খুব স্বাভাবিক, এটা একটা প্রক্রিয়া, একদিন না একদিন যেতে হবে এটা খুব স্বাভাবিক। যেমন টি-টোয়েন্টি থেকে প্রায় বছরখানিক হয়ে গেছে চলে গেছি। এখন ওয়ানডে খেলছি, আর কিছুদিন হয়তো খেলব। আসলে এক্সাকলি শেষ ম্যাচ কিনা সেটা বলা কঠিন। কারণ আমি অনেকবার আপনাদের সামনে বলেছি আমি ডিসাইড করে কাজ করি না। এমনও হতে পারে নেক্সট ম্যাচ বা তার পরের ম্যাচ খেলে যদি মনে হয় ভালো লাগছে তাহলে ছেড়েও দিতে পারি। আমি আসলে আমার ইন্সট্যান্ট গাট ফিলিংয়ের ওপর চলি। এভাবে কিছু বলা আমার জন্যও কঠিন। কারণ আমি চিন্তাও করি না। তবে এই জিনিসগুলো আমার জন্য অবশ্যই ইমোশনাল।’

ইত্তেফাক/কেআই