জয়ের ধারাবাহিকতা আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় ও শেষ টেস্টেও রাখতে চায় ভারত। একই সঙ্গে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ অবস্থানে নিজেদের আরো মজবুত অবস্থানে দেখতে চান অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
চার ম্যাচের চারটিতে জিতে ভারতের সংগ্রহ সর্বোচ্চ ২০০ পয়েন্ট। যেখানে দুই ম্যাচ খেলে দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৬০। এই ম্যাচ জিতে গেলে তাদের নামের পাশে যোগ হবে আরো ৪০ পয়েন্ট। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের এই পয়েন্ট ব্যবস্থার কারণেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও শেষ ম্যাচটা নির্ভারভাবে খেলতে নারাজ স্বাগতিক ভারত।
বরং, প্রথম দুই ম্যাচের মতো পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে মরিয়া দলটি। দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘টানা ১১টি সিরিজ জয়, যে কোনো দলের জন্যই অসাধারণ ব্যাপার। তবে আমরা এমন রেকর্ড নিয়ে ভাবছি না। আমরা প্রত্যেকটি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। কারণ এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ফরম্যাটে টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে। এই অবস্থায় সব ম্যাচই মহাগুরুত্বপূর্ণ। তাই জয়ের মধ্যেই থাকতে চাই আমরা। আশা করছি, সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে শেষ করতে সক্ষম হব আমরা।’
চলতি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকান দলটি বেশি ভুগেছে নিজেদের ব্যাটসম্যানদের কারণে। ডিন এলগার আর কুইন্টন ডি কক বাদে আর কেউই বড়ো ইনিংস খুব একটা খেলতে পারেননি। তাই শেষ টেস্টে ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড়ো স্কোর চান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস।
তিনি বলেন, ‘সেরা সাফল্য পেতে হলে মাঠে ভালো পারফরমেন্স করতে হবে। যদি পারফরমেন্স না করা যায়, তবে চেষ্টা করে যেতে হবে এবং সেরা পারফরমেন্সের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে। ব্যাটসম্যানরা বড়ো স্কোর করতে পারছে না। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুটি সেঞ্চুরি হলেও পরের তিন ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরিভাবেই ব্যর্থ।’
রাঁচি টেস্টের আগে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য একটাই। আর সেটা হলো যে করেই হোক, হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে নিজেদের দূরে রাখা। অধিনায়ক আশা করছেন, এই লক্ষ্যটা তার দল পূরণ করতে পারবে। আত্মবিশ্বাসী এই অধিনায়ক বলেন, ‘আশা করছি, ব্যাটসম্যান-বোলাররা ঘুরে দাঁড়াবে এবং হোয়াইটওয়াশ রুখতে সক্ষম হবে। ম্যাচ হারলে সময়টা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। তবে ভালো পারফরমেন্স করার বিষয়ে ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী।’
ভারতের কাছে চলতি সিরিজের প্রথম দুটি টেস্ট হেরে এমনিতেই বিধ্বস্ত দক্ষিণ আফ্রিকা। আর তৃতীয় টেস্টের আগে বড়ো দুঃসংবাদ পেল সফরকারীরা। চোটের জন্য রাঁচি টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার এইডেন মার্করাম। তার চিড় ধরেছে কবজিতে।
আর আগে থেকেই কাঁধের চোট নিয়ে ছিঁটকে গেছেন বা-হাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। দুই থেকে তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে। ইনজুরি শঙ্কা আরো আছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে। প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান কক পরেছেন পায়ের ইনজুরিতে। ফলে, আজ তার খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা আছে। ফলে, হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াইটা খুব শক্তই হবে প্রোটিয়াদের জন্য।
ইত্তেফাক/এসআর