মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২০:৪৪

কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নপূর্বক রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদা ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য উৎসাহিত করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর অভিযানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা চৌকিতে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দুই বছর আগে বার্মার সেনাবাহিনী বেসামরিক পুরুষ, নারী ও শিশুদের উপর নিষ্ঠুর আক্রমণ শুরু করে। দেশটির সেনাবাহিনী শুধু রাখাইন রাজ্যে নয় গত সাত দশক ধরে বার্মিজ জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে।

সামরিক বাহিনীর জবাবদিহিতার অভাব ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের উপর খবরদারির অর্থ দাঁড়ায় রাখাইনসহ কাচিন ও শান রাজ্যসহ অন্যত্র সামরিক নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত সকলকে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, নিরবচ্ছিন্ন মানবিক প্রবেশাধিকারের অনুমতি এবং শান্তির জন্য রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানাই।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গু জ্বর: ১৬৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্বাস্তু মানুষকে আশ্রয় দেয়ায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ৫৪২ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে। এই মানবিক কাজে যোগ দেয়ার জন্য আমরা অন্যদের প্রতিও আহ্বান জানাই।

নির্যাতনের শিকার এবং ১০ লাখের বেশি উদ্বাস্তু যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে আমরা তাদের পাশে আছি। শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ, সুরক্ষিত এবং কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বার্মার প্রচেষ্টায় সফলতার জন্য ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা অপরিহার্য। এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য আমরা অন্যদেরও আহ্বান জানাই।    

বিবৃতির শেষ ভাগে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের কথা উল্লেখ করা হয়। যেখানে বলা হয়, দুই বছর আগে এই আগস্টে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন দেয়া হয়। যেখানে রোহিঙ্গাদের প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্যের কথা উল্লেখ করা হয়, যা এখনও অব্যাহত আছে। আমরা বার্মা সরকারকে সেই কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান জানাই। রাখাইনে এখনো যারা আছে ও যারা সেখান থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের জন্য এটাই সর্বোত্তম সমাধান। যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের মূল আবাসস্থল অথবা তারা যেখানে পছন্দ করে এমন কোথাও রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের মিয়ানমারকে উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে আমরাও একত্রে কাজ করে যাব।

ইত্তেফাক/কেআই