শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তিমি গিলে ফেলার পরও জীবিত ফিরলেন তিনি

আপডেট : ১২ জুন ২০২১, ১৪:০৯

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাইকেল প্যাকার্ড নামে এক লবস্টার শিকারিকে গিলে ফেলেছিলো বিশাল আকৃতির হ্যাম্পব্যাক তিমি। কিন্তু সেখান থেকে জীবিত ফিরেছেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

মাইকেল প্যাকার্ড বলেন, ‘সেই সময় আমি সাগরের নীচে লবস্টার বা বড় আকারের চিংড়ি মাছের খোঁজ করছিলাম। তখন বিশাল ওই তিমিটি আমাকে গিলে ফেলে। এরপর প্রায় ৩০-৪০ সেকেন্ড তিনি তিমির পেটের মধ্যে ছিলাম। তারপর তিমিটি এক পর্যায়ে আমাকে মুখ থেকে লালার সঙ্গে বের করে দেয়। আমার গোড়ালি একটু মচকে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনো ক্ষতি হয়নি।’

হ্যাম্পব্যাক তিমি ৫০ ফিট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং একেকটির ওজন হতে পারে প্রায় ৩৬ টন। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফান্ডের তথ্য অনুযায়ী, এখন বিশ্বে এরকম তিমির সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

৫৬ বছরের মাইকেল প্যাকার্ড বলেন, তিনি এবং তার সহযোগী মিলে তাদের নৌকা নিয়ে গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) সকালে হেরিং কোভে যান। সেখানে পরিবেশ ছিল চমৎকার এবং পানিতে দৃষ্টিসীমা ছিল প্রায় ২০ ফিটের মতো।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, স্কুবা গিয়ার নিয়ে নৌকা থেকে পানিতে নেমে ডুব দেয়ার পরেই বিশাল একটা ধাক্কা অনুভব করেন প্যাকার্ড। এরপরেই সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়।

তিনি ধারণা করেছিলেন, তিনি হয়তো বিশাল আকৃতির সাদা তিমির হামলার শিকার হয়েছেন, যেগুলো ওই এলাকায় সাঁতরে বেড়ায়। আর তখন তিনি আশেপাশে অনুভব করছিলেন সেখানে কোন দাঁত নেই। আর তখনই তিনি বুঝলেন, একটা তিমির মুখের ভিতরে চলে গেছেন তিনি।  আর এটি তাকে গিলে ফেলার চেষ্টা করছে। তার মনে হচ্ছিল, এটাই শেষ, তিনি মারা যাচ্ছেন।

প্যাকার্ড বলেন, ‘সেই সময় আমার স্ত্রী আর তার দুই পুত্রের কথা ভাবছিলাম। এরপর হঠাৎ করে এটি পানির ওপরে ভেসে উঠে প্রবলভাবে মাথা নাড়তে লাগলো তিমিটি। আমাকে যেন বাতাসে ছুঁড়ে ফেলা হলো আর আমি আবার পানিতে পড়ে গেলাম। আমি মুক্ত হয়ে পানিতে ভেসে রইলাম। আমি সত্যি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি যেন সেই গল্প বলার জন্যই এখানে রয়েছি।’

সমুদ্র বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্যাকার্ডের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, তা সম্ভবত একটি দুর্ঘটনা। কারণ তিমি ইচ্ছাকৃতভাবে এভাবে কোনো মানুষকে গিলে খায় না সাধারণত

ইত্তেফাক/টিআর