শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিকলীতে পালকিতে চড়ে না কনেরা

আপডেট : ১৩ জুন ২০২১, ০৬:২৯

যোগাযোগের জন্য এখন আর পালকির ব্যবহার নেই। হারিয়ে গেছে আগের সেই ঐতিহ্য। গ্রামগঞ্জে পালকি করে বিয়ের কনে বহন করে নিয়ে যাওয়া হতো। এখন আর পালকিতে চড়ে না কনেরা। বেহারার পেশাও ছেড়েছেন লোকজন।

নিকলী উপজেলা ঘোড়াউত্রা নদী তীরের কারপাশা ইউনিয়নের রবিদাস পল্লির সুবল রবিদাসের পূর্বপুরুষের জীবন কেটেছে পালকির বেহারার পেশায়। একসময় তাদের পল্লিতে শত শত পালকি ছিল। বিয়ে বা অন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান হলে কিংবা শহরের বাবুরা বেড়াতে এলে ডাক পড়ত তাদের; কিন্তু এসব এখন কেবলই স্মৃতি।

 

পূর্বপুরুষের পেশা ধরে রাখলেও আগের সেই জৌলুশ এখন নেই। কারপাশা মুচিহাটি গ্রামের ছোট্ট পল্লিতে ব্রিটিশ আমল থেকেই রবিদাস সম্প্রদায়ের লোকজন বাস করে আসছেন। মূলত পালকির বেহারাই ছিল তাদের পেশা। বর্তমানে এ পল্লিতে কোনোভাবে টিকে আছে ১০টি পরিবারের ৩৫ জন মানুষ। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এই পরিবারগুলো আর্থিক সংকটের মধ্যে দিন পার করছে। বাঙালির আদি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অন্যতম অনুষঙ্গ এ পালকিকে সীমিত পরিসরে হলেও টিকিয়ে রাখা এবং বেহারাদের জীবনমান উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে—এমনটাই মনে করছেন এ পেশায় জড়িতরা। 

নিকলী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসসাদিক জামান বলেন, ‘পালকির বেহারা বা রবিদাস সম্প্রদায়ের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি।’

ইত্তেফাক/এমএএম