গণ্ডারকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখলে তার শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হয় এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু বিশেষজ্ঞ রবিন র্যাটক্লিফ এবং তার সহকারীরা। আর এমন উদ্ভট গবেষণার জন্য তারা চলতি বছরের ব্যঙ্গাত্মক ‘ইগ নোবেল পুরস্কার’ জিতে নিয়েছেন।
প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নোবেল পুরস্কারের মতোই উদ্ভট গবেষণার জন্য ‘ইগ নোবেল’ পুরস্কার দেওয়া হয়। বিজ্ঞানভিত্তিক রম্য পত্রিকা অ্যানালস অব ইমপ্রোব্যাবল রিসার্চ কর্তৃপক্ষই এই পুরস্কার দিয়ে থাকেন। আসল নোবেল-পুরস্কারপ্রাপ্তরা এসে ইগ নোবেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবার অবশ্য এই মজার অনুষ্ঠানটি হয়েছে অনলাইনে। এবারের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২০১৮ সালে রসায়নে নোবেল জয়ী ফ্রান্সে আর্নল্ড, ২০০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জয়ী কার্ল ওয়েইম্যান ও ২০০৭ সালে অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী এরিক ম্যাসকিন। এবারের ইগ নোবেলজয়ীরা পেয়েছেন একটি পিডিএফ প্রিন্ট-আউট। যা জুড়ে নিয়ে নিজেদের ট্রফি বানিয়ে নিতে হবে বিজয়ীদের। তাছাড়াও নগদ অর্থ হিসেবে হিসেবে ছিল ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের একটি জাল ব্যাঙ্ক নোট।
চলতি বছরে গণ্ডারকে পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা সংক্রান্ত উদ্ভট গবেষণাটি ‘পরিবহন গবেষণা’ ক্ষেত্রে ইগ নোবেল পুরস্কার পেয়েছে। শুধু তাই নয়, আরও উদ্ভট বিষয়ে গবেষণার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরও একাধিক গবেষককে ‘ইগ নোবেল’ দেওয়া হয়েছে। এক দল গবেষণা করেছেন ফুটপাতে আটকে থাকা চুইংগামের ভেতরে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা নিয়ে। অন্য এক দল গবেষকের বিষয় ছিল, ‘সাবমেরিনের মধ্যে আরশোলার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?’
গণ্ডারকে পা বেঁধে ঝুলিয়ে রেখে ‘ইগ নোবেল’ জয়ী রবিন র্যাটক্লিফ জানিয়েছেন, ‘প্রাণীদের যখন পায়ে দড়ি বেঁধে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাদের শরীরে উপরে কী প্রভাব ফেলে তা জানতেই নামিবিয়ায় গিয়ে ১২টি গণ্ডারকে পায়ে দড়ি বেঁধে ১০ মিনিটের মতো ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।’
ইত্তেফাক/এফএস