বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

৩০ সেকেন্ডে হাতে ৫০ পেন্সিল, গিনেস বুকে বাংলাদেশের মনিরুল

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৪৩

২১ বছরের মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এক হাতের উপরে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০টি পেন্সিল রেখে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম লিখিয়েছেন। তিনি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মিরারচর গ্রামের কাতার প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে।

ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুক প্রতিযোগিতার বিষয়টি দেখার পর থেকেই মনিরুল বাবা-মা এবং বন্ধুদের উৎসাহের চর্চা কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন মনিরুল। বারবার চেষ্টার পর সফল হয়ে গত জুন মাসে ভিডিওটি গিনেস বুক কর্তৃপক্ষেক কাছে পাঠান মনিরুল। আর তাতেই জোটে এই বিরল স্বীকৃতি। মনিরুল ময়মনসিংহ জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব মেধার অধিকারী মিরারচর গ্রামের মনিরুল। মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে সুনাম অর্জন করেছিলেন তিনি। একই ক্যাটাগরিতে ৩০ সেকেন্ডে ৪০টি পেন্সিল হাতের উপর রাখার রেকর্ড গড়েছিলেন ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা সিয়াম। তিনি পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী। এর আগে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে ইতালির নাগরিক সিলভা ৩০ সেকেন্ডে ৪২টি পেন্সিল হাতের উপর রাখার কৃর্তি অর্জন করেন। তার এই রের্কড ভেঙে দিয়ে ৩০ সেকেন্ডে ৫০টি পেন্সিল হাতের উপর রেখে মনিরুল ইসলাম গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম লেখান।

মনিরুল ইসলাম জানান, ‘ছোট বেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়ায় গিনেস বুকের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন রেকর্ড দেখে আমার মনে ইচ্ছা জাগে, আমিও যদি এরকমই একটি রেকর্ড গড়তে পারতাম। পৃথিবীর বুকে নিজের দেশ বাংলাদেশের নামটা তুলে ধরতে পারতাম।’ মনিরুল বলেন, ‘সেই প্রচেষ্টায় বিশ্বের অনেকগুলো রের্কড দেখি এবং তাদের মধ্য আমি বেছে নেই ৩০ সেকেন্ডে সর্বোচ্চ পেন্সিল হাতের উপর রাখার রেকর্ডটি। সেই রেকর্ডটি ব্রেক করার জন্য আমি দীর্ঘদিন প্রস্তুতি নেওয়ার পর সেটি আমার আওতায় চলে আসে। তখন আমি রেকর্ডটি ব্রেক করার জন্য গিনেস বুকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করি। আবেদন করার দুই মাস পর গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ ইমেলের মাধ্যমে জানান আমার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়েছে।’

‘তাদের নির্দেশনামতে আমার রেকর্ডটির ভিডিও বার্তা পাঠানোর জন্য বলা হয়। সেই অনুযায়ী ভিডিও পাঠাই আমি। গিনেস কর্তৃপক্ষ গত ২১ সেপ্টেম্বর ইমেলের মাধ্যমে জানান আমার রেকর্ডটি সফল হয়েছে। আমি এখন এই ক্যাটাগরিতে বিশ্বরেকর্ড হোল্ডার। আগামী কয়েক মাসের মধ্য গিনেস বুকের রের্কড ব্রেক করার স্বীকৃতিপত্র পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।’

ইত্তেফাক/এফএস