দীর্ঘদিন ধরে কুমার নদী থেকে বালু তোলায় গত এক সপ্তাহে ভাঙ্গা কলেজপাড় হতে বাটিকামারী ফিডার সড়কের বেশ কয়েক জায়গা ধসে পড়েছে। সড়কটির সরকারি কেএম কলেজের সামনের অংশের প্রায় শতাধিক ফুট এলাকা ধসে নদী গর্ভে চলে গেছে। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনলেও থামানো যাচ্ছেনা একটি মহলের অপতৎপরতা।
সরেজমিনে, গত বছরে কুমার নদী খনন কাজের অনুমতি পায় বেঙ্গল গ্রুপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে এলাকার কিছু বালু ব্যবসায়ী তাদের কাছ থেকে সাবলিজ নিয়ে নদী খননের কাজ নেয়। একই সঙ্গে নদী খননের নামে নদীর তল হতে বালু তুলে ব্যবসা করতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর এলাকাবাসী অভিযোগ করলে এবং বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
বালু ব্যবসায়ীরা বাঁধ দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি সড়কি।
এদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিমাদ্রী খীসা অভিযান চালিয়ে একাধিক ড্রেজার মেশিন জব্দসহ পুড়িয়ে দিয়েছেন। পরে বালু ব্যবসায়ীরা কৌশল পরিবর্তন করে বেঙ্গল গ্রুপের অসাধু কর্মকর্তাদের হাত করে গত একমাস ধরে ভাঙ্গা বাজারপাড়, কলেজপাড়ে চারটি ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: ‘এভাবে চলতে থাকলে ফলের দোকানে পেঁয়াজ কিনতে যেতে হবে’
বালু ব্যবসায়ীরা উপজেলা কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে তাদের দুইটি পুকুর ভরে দেওয়ার অজুহাতে সমগ্র ভাঙ্গা বাজারের চারপাশে একাধিক ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলে আসছেন।
অপরিকল্পিত ভাবে বালু তোলায় শুধু সড়কই নয় ভাঙ্গা বাজার, মুক্তিযোদ্ধা ভবন, থানা ভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা এবং নদীর পাড়ের হাজারো ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
ইত্তেফাক/এসি