পেঁয়াজ মজুদ করায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা এলাকার সুভাসচন্দ্র নামে এক ব্যক্তির বাড়ির ছাদ থেকে ১৫ মন পেঁয়াজ উদ্ধার করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশের কাছে দু’দিনের মধ্যে ওই পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ার মুচলেকা দেন ওই ব্যবসায়ী।
উপজেলা কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, রাজশাহীর অঞ্চলে যে সমস্ত এলাকায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে তার মধ্যে বাঘা উপজেলা অন্যতম। এই উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং দুটি পৌর সভার সবখানেই কমবেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। এরমধ্যে প্রতিবছর সর্বত্র পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে। যা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যত্র রপ্তানি হয়।
বাঘার হাটের সবজি ব্যবসায়ী মানিক মিয়া জানান, যে অঞ্চলে ফসলের উৎপাদন বেশি হয়, সেইসব অঞ্চলে মানুষ সেই ফসলের মৌজুদ করে থাকেন। এ দিক থেকে উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চল বাউসা এবং আড়ানী ইউনিয়নের অনেক ব্যক্তি তাদের ঘরে অসংখ্য পেঁয়াজ মৌজুদ করে রেখেছেন। তার মতে, প্রশাসনের লোকজন যদি ওইসব বাড়িতে অভিযান দিয়ে এই মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ার ব্যবস্থা করেন তাহলে এ অঞ্চলে পেঁয়াজের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল হয়ে যাবে।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে শনিবার ইত্তেফাকের অনলাইনে ‘বাঘায় ব্যবসায়ীদের বাড়িতে পেঁয়াজের গুদাম’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হলে সেটি চোখে পড়ে চারঘাট-বাঘা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নুরে আলমের চোখে। তিনি বাঘা থানা পুলিশকে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে বলেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শফিউল্লা সুলতান বলেন, বাঘায় উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা পুরনের পাশাপাশি দেশের অন্যত্র রপ্তানি হয়। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমাদের দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। সেই সময় পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে।
ইত্তেফাক/জেডএইচ