শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

লবণ নিয়ে কোটালীপাড়ায় গুজব, সংকট নেই দেশে

আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৩০

‘২শ টাকা হবে লবণের কেজি’ এমন গুজবে কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারে লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়েছে। প্রশাসন বলছে, এ মূহুর্তে লবণের কোন সংকট নেই দেশে। তাই দাম বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনাও নেই।

সরেজমিনে জানা গেছে, গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লবণের কেজি ২শ টাকা হবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ গুজবের কারণে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ঘাঘর বাজারে লবণের ডিলার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার মধ্যে ডিলার ও অনেক পাইকারির ব্যবসায়ীর গোডাউন লবণ শূন্য হয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাঠে নামে। হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয়ের কারণে অনেক ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। 

মধুমতি সল্টের কোটালীপাড়ার ডিলার জালাল শেখ বলেন, একটি গুজবের উপরে ভর করে জনগণ হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয় শুরু করেছে। আমরা পূর্বের দামেই লবণ বিক্রি করছি। এ মূহুর্তে দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনাও নেই। 

পাইকারি ব্যবসায়ী গনেশ সাহা বলেন, সকাল থেকেই আমাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য সাধারণ মানুষ ও খুচরা বিক্রেতারা ভিড় করে। দুপুর ১২টার মধ্যে আমাদের দোকানের সমস্ত লবণ বিক্রি হয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার নাগরা গ্রামের এক ভ্যান চালক বলেন, গতকাল রাতে ঢাকা থেকে আমার এক আত্মীয় ফোন করে আমাকে জানিয়েছেন লবণের কেজি ২শ টাকা হবে। তাই মঙ্গলবার সকালে এসেই ঘাঘর বাজার থেকে ১০ কেজি লবণ ক্রয় করেছি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসিন উদ্দিন বলেন, লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজবের কারণে ঘাঘর বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজারে ছুটে আসি। প্রত্যেক ডিলারকে বলে দিয়েছি পূর্বে তারা ব্যবসায়ীদের কাছে যে পরিমাণ লবণ বিক্রি করতো এখন সেই পরিমাণ বিক্রি করতে হবে। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদেরকে এক কেজি থেকে দুই কেজির উপরে লবণ বিক্রি করতে নিষেধ করেছি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মূহুর্তে লবণের কোন সংকট নেই। তাই দাম বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনাও নেই। যদি কোন ডিলার বা ব্যবসায়ী বাজার দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইত্তেফাক/জেডএইচ