ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধ শ্রমিক মোঃ সহিদ মিয়াকে (৭৫) খুন করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
এর আগে গত শনিবার বিকালে বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকার একটি ইটভাটা থেকে বৃদ্ধ শ্রমিক সহিদ মিয়ার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশের একাধিক ইউনিট।
পুলিশ ওই ইটভাটার একাধিক শ্রমিককে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের মধ্যে শ্রমিক ওয়াহিদ ও মিন্টু এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, বৃদ্ধ সহিদ মিয়ার লাশ উদ্ধারের পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি। এক পর্যায়ে জানা যায় ওই ইটভাটায় শ্রমিক সংকট থাকার কারণে বৃদ্ধ শ্রমিক সহিদ মিয়াকে শনিবার সকালে কাজ করার জন্য ডেকে নিয়ে আসেন শ্রমিক সর্দার বিল্লাল মিয়া।
কাজ শুরু করার পর সকাল ৮দিকে সহিদ মিয়ার কাছে আগের পাওনা ২০ হাজার টাকা দাবি করেন বিল্লাল মিয়া। এই নিয়ে তারা তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে শ্রমিক ওয়াহিদ কোদাল ও সর্দার বিল্লাল মিয়া বেলচা দিয়ে সহিদ মিয়ার মাথায় আঘাত করে। এক পর্যায়ে শ্রমিক মিন্টু ফিরাতে গেলে তার হাতেও আঘাত লাগে। আঘাতের পর ঢলে পড়ে যায় সহিদ মিয়া। পরে বিল্লাল ও ইটভাটার শ্রমিক হামিদ দ্রুত সহিদ মিয়ার লাশ পানিতে ফেলে দেয়।
পরবর্তীতে শ্রমিক সর্দার বিল্লাল মিয়া জানান, সহিদ মিয়াকে ইটভাটায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শনিবার বিকালে ইটভাটার পাশে একটি গর্তে সহিদ মিয়ার লাশ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় কথা স্বীকার করে শ্রমিক ওয়াহিদ ও মিন্টু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের শশই গ্রামের একটি ইটভাটার কাছ থেকে মোঃ সহিদ মিয়া নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সহিদ মিয়া শশই গ্রামের মরহুম সিন্দু মিয়ার ছেলে।
ইত্তেফাক/আরকেজি