শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সময়ের আগে আলু রোপণে মুখরিত তিস্তার চর

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:৫২

রংপুরের গঙ্গাচড়া ও পীরগাছায় বন্যা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিস্তার বুকে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সময়ের আগে আলু রোপণকে ঘিরে মুখরিত তিস্তার চরগুলো। 

সরেজমিনে তিস্তার চর ছাওলা, গাবুড়ার চর, চর তাম্বুলপুর, রহমতের চর, শিবদেব চর ও চর জুয়ান গ্রামে হিরা-২, ব্রি-৩৩, ব্রি-৩৯, ব্রি-৫৬ ও বীনা-৭ জাতের ধানসহ স্বল্পমেয়াদী আগাম জাতের আমন ধান চাষ করেছিলেন কৃষক। বর্তমানে ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই আগাম আলু রোপণে জমি তৈরিসহ সার প্রয়োগে ব্যস্ত কৃষক। বেশির ভাগ জমিতে নারী শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরে দুই দফার বন্যায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তিস্তার নিকটবর্তী এলাকার মানুষরা। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা কোনো সহায়তায় পাননি। ফলে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা আগাম আলু চাষের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তবে এ বছর তুলনামূলক আলু বীজের দাম কম, সারের সরবরাহ স্বাভাবিক ও স্বল্প মজুরিতে নারী কৃষি শ্রমিক পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেফতার

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৭৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০০ হেক্টরে আগাম জাতের আলু চাষ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, চরাঞ্চলের বালু মিশ্রিত পলি মাটিতে আগাম আলুর ফলন ভালো হয়। তাই কৃষক আগাম আলু চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। আগাম আলু ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে মাঠ থেকে তুলে বাজারজাত করা যায় বলে এ আলু চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।

ইত্তেফাক/এসি