গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ২১। কিন্তু এখন কর্মরত চার জন ডাক্তার। এদের মধ্যে ১০ জন কনসালটেন্ট ডাক্তারের মধ্যে আছেন শুধু দুই জন। গত ২৮ নভেম্বর পদোন্নতিজনিত বদলিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সাত জন চলে গেছেন। ভারপ্রাপ্ত জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. নভেরা ইসলাম গত ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকবেন। এ পরিস্থিতিতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র থেকে জানা গেছে, ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মঞ্জুরিকৃত ২১ জন ডাক্তারের মধ্যে আট জন কনসালটেন্টের পদ শূন্য। তাছাড়া বর্তমানে সাত জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল অফিসার দুই জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট এক জন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (ইএনটি) এক জন, ইএমও এক জন, প্যাথলজিস্ট এক জন, এনেসথেটিস্ট এক জন। তাছাড়া এক জন মেডিক্যাল অফিসার অনুপস্থিত ও তিন জন প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত।
এদিকে প্রতিদিন গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগে ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী আসেন।
আরও পড়ুন: অবশেষে চালু হচ্ছে ই-পাসপোর্ট
এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তার লুত্ফর রহমান গতকাল শনিবার ইত্তেফাককে বলেন, ২১ পদের মধ্যে মাত্র চার জন ডাক্তার দিয়ে চিকিত্সাসেবা ঠিকমতো দেওয়া যায় না। ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, কমপক্ষে সাত-আট জন ডাক্তার লাগে। আট জন কনসালটেন্ট ডাক্তার নেই। কবে পাব বলা মুশকিল। ভারপ্রাপ্ত ডা. নভেরা ইসলাম জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি অ্যান্ড অবস) ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় থাকবেন। তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে হয়তো কিছু ডাক্তার পাব। তিন জন ডাক্তার প্রেষণে রয়েছেন অন্যত্র। তারা বেতন নিচ্ছেন এখানে কাজ করছেন অন্যখানে।
ইত্তেফাক/এসইউ