শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘ক্ষুধার জ্বালা তো সবারই আছে’

আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৫৬

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের হীজড়ারা দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নিজ পরিবার থেকে শুরু করে সবখানেই তারা চরম বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার। তাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দিলেও সমাজ এখনও দেয়নি।

হোসনে আরা, পপি, লাকী, সাথী, যুথি, চামিলী, চৈতী, রেখা নামের কয়েকজন হিজড়া বলেন, ক্ষুধার জ্বালা তো সবারই আছে। সবাইকে তো খেয়ে পড়ে বাঁচতে হয়! অন্তত রাতের ঘুমের জন্যও একটা জায়গা দরকার হয়। অথচ সরকারি-বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানেও কাজের সুযোগ নেই। তাদের কোন মালিক বাড়ি ভাড়াও দিতে চায় না। হিজড়া হওয়ার কারণে সামাজিকভাবে কোথাও বিন্দুমাত্র সন্মান নেই। ঘর থেকে বের হলেই লোকজন হিজড়া-হিজড়া বলে ডাকাডাকি করেন। অনেকে নোংরা মন্তব্যও করেন।

আরও পড়ুন: আরচারিতে সব স্বর্ণ জিতে অনন্য রেকর্ড বাংলাদেশের

তারা আরও জানান, উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই এক বা একাধিক হিজড়া রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই এখনও কিশোর। চক্ষু লজ্জায় তারা নিজেদের প্রকাশ করতে পারছে না। তবে একটা সময় ঠিকই জানাজানি হবে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি না পাল্টালে ওরাও একদিন পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। ওদেরও হয়ত ঠাঁই হবে হিজড়া সমাজেই। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি সামাজিক স্বীকৃতির দাবি জানান তারা।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১০ জন হিজড়াকে বিশেষ ভাতা দেওয়া হয়েছে। মাসিক ভাতার পরিমাণ ৬শ’ টাকা। এছাড়াও হিজড়াদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে কর্মদক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ইত্তেফাক/বিএএফ