শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

১৬ বছর ধরে পতাকা বিক্রিতে চলছে সংসার

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:২৭

শফিক মিয়ার বয়স পঞ্চাশ পেরিয়েছে। বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার গায়েনগঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল পাড়াগাও গ্রামে হলেও গাজীপুরের কালীগঞ্জের অলিতে গলিতে তার বিচরণ। অভাব অনটনের সংসার থাকলেও দেশের প্রতি রয়েছে তার ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসা থেকেই তিনি বিগত ১৬ বছর ধরে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করছেন। 

দারিদ্রতার কারণে তিনি বিয়ের ব্যাপারে ছিলেন অমনোযোগী। কিন্তু বৃদ্ধ বাবা নয়ানুল্লাহর চাপে অবশেষে বিয়ে করেন। এখন তার সংসারে দুই ছেলে। বড় ছেলে মোখলেস (২৪) একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে তাকে সংসার চালাতে সহযোগিতা করছে। আর ছোট ছেলে মমিনুল (৭) পড়ছে প্রাথমিকে। দারিদ্রতার কারণে শফিক বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি। তবে ইচ্ছা আছে ছোট ছেলে মমিনুলকে উচ্চ শিক্ষিত করার।

শফিকের কাছে আছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বিভিন্ন সাইজের পতাকা। আর সাইজ বেঁধে বিক্রিও করছেন বিভিন্ন দামে। শুধু জাতীয় পতাকা নয়। তার কাছে আছে জাতীয় পতাকা সম্বলিত মাথায় বাধার বেল্ড, আছে বেসলাইট, ছোট হাতের জাতীয় পতাকা, কাগজের পতাকা, গালে ও কপালে পড়ার স্টিকার। আছে জাতীয় পতাকা সম্বলিত রাবার বেল্ডও। তবে তার কাছে যাই আছে তা বাংলাদেশের পতাকার লাল-সবুজের রং কেন্দ্রীক।

শফিক মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জন্যই সাড়ে সাত কোটি মানুষকে একসঙ্গে করে ছিলেন। ডাক দিয়ে ছিলেন স্বাধীনতার যুদ্ধের। সারা বছর এ ব্যবসা খুব একটা ভালো থাকে না। তাই আমিও খুব একটা ভালো থাকি না। তবে ব্যবসার চেয়ে বেশি ভালো লাগে যখন দেখি ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা বাংলাদেশের পতাকার রং এ রঞ্জিত লাল-সবুজ কেন্দ্রীক সামগ্রী ক্রয় করছে।