সুনামগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে বন্দুকের গুলিতে আমির উদ্দিন নামে একজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। রবিবার সকালে দিরাই উপজেলার কালধর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ফারুক মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে বন্দুকসহ আটক করেছে।
নিহত আমির উদ্দিন কালধর গ্রামের সাইদ উল্লার ছেলে। আটক ফারুক ওই গ্রামের মৃত আবদুল অলির ছেলে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন (৩০), রাজেল মিয়া (৩২), এলাইছ মিয়া (৫২), শহিদ মিয়া (৩৬), চন্দন মিয়া (৩০), মিলন মিয়া (৩০), করম আলী (৫২), বিল্লাল মিয়া (২৯), জাকারিয়া (২৫), ছাদ হোসেন (২৯), মাহবুব মিয়া (১৮), জুয়েল মিয়া (১৯), কুতুব মিয়া (৩০)। তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রামের ফারুক মিয়া, মনু মিয়া ও আওয়াল মিয়ার কাছে গ্রামের উন্নয়ন ফান্ডের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। এনিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী কয়েকবার শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভুয়া পুলিশ ও সাংবাদিক আটক
রবিবার সকালের দিকে গ্রামের শফিক মিয়া, আইয়ুব মিয়া ও জুয়েল মিয়া মোটরসাইকেল নিয়ে দিরাই আসছিলেন। পথে মনু মিয়ার বাড়ির সামনে এলে মনু মিয়া, মিলিক মিয়া ও ফারুক মিয়াসহ তাদের লোকজন হামলা চালায়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধারে এগিয়ে এলে ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আমির উদ্দিন।
সাবাজ মিয়া নামে এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে গ্রামের উন্নয়ন ফান্ডের প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ফারুক মিয়া, মনু মিয়া ও আউয়াল মিয়ার কাছে রয়েছে। গ্রামবাসী টাকার হিসাব চাইলে তারা বিভিন্ন টালবাহানা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানী করে আসছেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল ইসলাম জানান, গ্রামের পরিবেশ এখন শান্ত। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসি