শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পেঁয়াজ আবাদে ঝুঁকছে কৃষক

আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫১

পাবনা অঞ্চলে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এজন্য পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করছে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট। 

পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আজাহার আলী সোমবার জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুসারে দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর এক চতুর্থাংশের বেশি পেঁয়াজের যোগান আসে পাবনা থেকে। এ কারণে পাবনাতে পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধির উপর জোর দেয়া হয়েছে। 

তিনি জানান, চলতি রবি মৌসুমে পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় ৪৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ভেতর সুজানগর উপজেলাতেই আবাদ হবে ১৮ হাজার ৪০০ হেক্টর। এরপর সাঁথিয়া উপজেলাতে ১৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর। বাকীগুলো অন্যান্য উপজেলাতে। এ আবাদ থেকে প্রায় ৭ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপন্ন হবে। 

কৃষিবিদ মো. আজাহার আলী বলেন, ইতোমধ্যে অনেক জমিতে পেঁয়াজের চারা লাগানো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে।

জেলার সুজানগর ও সাঁথিয়া  উপজেলায়  গিয়ে দেখা যায়, পেঁয়াজ আবাদের জন্য ইতোমধ্যে ছোট ছোট প্লট করে চারা উৎপাদন করেছে কৃষক। মূল কাটা পেঁয়াজ লাগিয়ে আগাম যেসব পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছিল সেসব উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন কৃষকরা। 

সুজানগরের কৃষক ইসহাক আলি বলেন, তিনি বাড়ি সংলগ্ন ১৬ শতক জমিতে মূল কাটা পেঁয়াজ  লাগিয়েছিলেন। প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি করেছেন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনা অঞ্চলের একজন কর্মকর্তা বলেন, সুজানগরের বিল গণ্ড হস্তী বা গাজনার বিল জুড়েই আবাদ হয় পেঁয়াজের। বিলে পদ্মা-যমুনার তীরবর্তী বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবেশ করে পলি মাটি পড়ার কারণে জমির উর্বরতা শক্তি বেশি থাকায় সেখানে পেঁয়াজের ফলন আশাতীত হয়ে থাকে। যে কারণে গাজনার বিলে কৃষকেরা রবি মৌসুমে শুধু পেঁয়াজ আবাদ করে থাকে।

এদিকে পাবনা মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ফারুক হোসেন জানান, চলতি রবি মৌসুমে রাজস্ব খাতের আর্থিক সহায়তায় সুজানগর ও আটঘরিয়া উপজেলাতে একশজন কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সার সুপারিশ মালা দেয়া হয়েছে। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ