শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বরিশালে প্রধান দুই হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৪:২৯

শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল (সদর) হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। শেবাচিমে অনুমোদিত বেডের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকলেও তাদের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নার্সরা। হাজার বেডে উন্নীত হওয়া শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগী থাকছে ২ হাজার অথচ চিকিৎসক রয়েছে ৫০০ বেড অনুযায়ী অর্ধেকেরও কম।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০০ বেড অনুযায়ী ২২৪টি পদের অনুকূলে কর্মরত আছেন ৯৬ জন। এরমধ্যে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি, কার্ডিওলজিসহ ৩৩টি বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য রয়েছে। রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রারসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়; ৪র্থ শ্রেণির ৪২৬টি পদের মধ্যে প্রায় ১৩৫টি পদই শূন্য রয়েছে।

আরও পড়ুন : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় দানকারী বিচারপতি মইনুল ইসলাম অবসরে

শেবাচিমের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন ইত্তেফাককে জানান, ধারণক্ষমতার তিন-চার গুণ রোগী নিয়ে তাদেরকে হিমশিম খেতে হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধীন অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, কিউরেটর প্রভৃতি পদে ২০৫ জনের স্থলে কর্মরত রয়েছেন ১১৫ জন। বিডিএস সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকের ২২টি পদে কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন। এছাড়াও দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ৫৯ জনের স্থলে কর্মরত ৩৮ জন, চতুর্থ শ্রেণির ১৪১টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছে ৮১ জন।

অপরদিকে জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ৩৩টি পদের অনুকূলে কর্মরত রয়েছেন ২৩ জন চিকিৎসক। এ হাসপাতালের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, ১০০ বেডের এ হাসপাতালে চিকিত্সক সংকট রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ৪২টি পদের অনুকূলে রয়েছেন মাত্র ১৮ জন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন এ হাসপাতালটিতে শিশু বিশেষজ্ঞ না থাকায় চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চোখের চিকিৎসা, কার্ডিওলজি, অর্থপেডিক্স বিভাগে চিকিৎসক না থাকায় এসব সেবাও বন্ধ রয়েছে।

 ইত্তেফাক/এমআরএম