বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সরকারি গুদামে ন্যায্যমূল্যে আমন ধান বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক। রোববার খাদ্য গুদামে ধারণ ক্ষমতা না থাকার কারণ দেখিয়ে সাময়িকভাবে ধান কেনা বন্ধ ঘোষণা দিয়েছে খাদ্য বিভাগ। ফলে তালিকাভুক্ত ৮৮৬ জন কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছে না বলে জানা গেছে। এছাড়াও বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলার গোসাইবাড়ি সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছে না কৃষক।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ধুনট খাদ্য গুদামে ১ হাজার ৯৬ মেট্রিন টনের মধ্যে ২১০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এরপর ধুনট খাদ্য গুদামে জায়গা না থাকায় ৮৮৬ মেট্রিক টন ধান ক্রয় সাময়িক ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, একদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান বিক্রি করতে পারছে না তারা। কারণ এমন আবহাওয়ায় ধান শুকাতে পারছেন না তারা। আবার অন্য দিকে যারা ধান বিক্রি করারমত অবস্থায় আছে, তাদের ধানও বিক্রি করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
উপজেলার গোসাইবাড়ি খাদ্য গুদামের উপ-খাদ্য পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) তরিকুল ইসলাম বলেন, গোসাইবাড়ি খাদ্য গুদামে বরাদ্দকৃত ৬৭৪ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে ১৮০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। এই গুদামে ধান মজুদের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধান শুকাতে না পেরে কৃষকেরা গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারছে না।
ধুনট গুদামের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল ইসলাম বলেন, ১ হাজার ৯৬ মেট্রিক টনের মধ্যে ২১০ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। কিন্তু খাদ্য গুদামে জায়গা না থাকায় ৮৮৬ জন কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডোমারে জুয়া খেলার দায়ে ৭ জনের জেল
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলার ধুনট ও গোসাইবাড়ি সরকারি খাদ্য গুদামে ১ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন করে খাদ্যশষ্য মজুদের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। চলতি মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান ক্রয়ের জন্য ধুনট ও গোসাইবাড়ি খাদ্য গুদামে ১ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৯৬ মেট্রিক টন এবং গোসাইবাড়ি খাদ্য গুদামে ৬৭৪ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। তবে এ উপজেলার গোসাইবাড়ি খাদ্য গুদামে আমন ধান ক্রয় অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) সেকেন্দার রবিউল ইসলাম বলেন, ধুনট খাদ্য গুদামে জায়গা স্বল্পতার কারণে ধান ক্রয় সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। খাদ্য গুদামে প্রয়োজনীয় জায়গা খালি করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয় করা হবে।
ইত্তেফাক/আরআই