আজ ছিল আনিকার বিয়ে। সকালে গায়ে হলুদ। সন্ধ্যার পরই আসবে বর। কিন্তু এমনটা হলো না। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ঘোর অমঙ্গল ঘটলো উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ছোট গোল্লা চকপাড়া গ্রামে। আনিকার সাবেক স্বামীসহ কিছু দুর্বৃত্ত কুপিয়ে জখম করল ওই বাড়ির ৪ সদস্যকে।
জানা যায়, এ সময় আনিকার সাবেক স্বামীর এলোপাথাড়ি কোপে বাবার কান ও ভাইয়ের দুই কান ও ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তারা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহতরা হলেন- কনের বাবা অনিল বাড়ৈ (৬৫), মা বিশাখ বাড়ৈ (৫৫), ভাই রণজিৎ বাড়ৈ (২৫) ও ভাই বউ পূর্ণিমা বাড়ৈ (১৮)।
অভিযুক্তর নাম জয়ন্ত মল্লিক। তার বাড়ি উপজেলার ব্রাহা ইউনিয়নের কান্দামাত্রা গ্রামে।
আরও পড়ুন: ই-পাসপোর্ট কী এবং কেমন হবে
আহত অনিল বাড়ৈর বড় মেয়ে মুক্তা রায় অভিযোগ করে জানান, কয়েক বছর আগে জয়ন্ত মল্লিকের সঙ্গে ছোট বোনের বিয়ে হয়েছিল। জয়ন্ত নেশাগ্রস্ত হওয়ায় এক বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়। ২২ জানুয়ারি বুধবার ছোট বোনের দ্বিতীয় বিয়ের তারিখ ছিল। হিন্দু ধর্মমতে ভোরে অধিবাস (গায়ে হলুদ) হওয়ার কথা ছিল। ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভাই প্রকৃতির ডাকে বাহিরে গেলে বাড়ির উঠানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা জয়ন্তসহ ১২-১৩ জনের সশস্ত্র একটি দল আক্রমণ করে। ঘরের বাইরে যাওয়া মাত্র তাকে মুখ চেপে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। চিৎকার শুনে বৌদি এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে বাবা ও মাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। ভোরেই তাদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আনিকা বাড়ৈ অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারী জয়ন্ত মল্লিকসহ কয়েকজনকে আমরা চিনেছি। ওরা আমার বাবা অনিল বাড়ৈর বাম কান ও ভাই রণজিৎ বাড়ৈর দুকান এবং ডান হাত ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ফেলেছে। এছাড়া মা ও ভাই বউয়ের পেটে ছুরি মেরেছে। ভাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নবাবগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসি