বন্দরে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে অবৈধ তিনটি ইটভাটাকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে দুটি ইটভাটা ভেঙে উৎপাদনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলামের নেতৃত্বে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত উপজেলার দাসেরগাঁও ও লক্ষণখোলা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। র্যা ব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও আনসার বাহিনী ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে সহায়তা করে।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- দাসেরগাঁও এলাকার মা-বাবা ব্রিক ফিল্ড, একই এলাকার ভাই ভাই ব্রিক ফিল্ড ও লক্ষণখোলা এলাকার হোম ব্রিকস।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা এনফোর্সমেন্ট বিভাগের নির্বাহি ম্যাজিস্টেট মাকছুদুল ইসলাম জানান, বিধিনিষেধ অমান্য করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে পরিচালিত মা-বাবা ব্রিক ফিল্ডকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তিন লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ভেঙে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারপরেও নির্দেশ ভঙ্গ করে পুনরায় অবৈধভাবে পরিচালনার অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে বিশ লক্ষ টাকা জরিমানাসহ ভেঙে দেয়া হয়েছে। এর পাশ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই ব্রিকসকে অবৈধভাবে মাটি ব্যবহারের অভিযোগে পাঁচ লাখ টাকা এবং লক্ষণখোলায় সিটি করপোরেশন এলাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ছাড়পত্রবিহীন পরিচালিত ইটভাটা হোম ব্রিকসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ ভেঙে দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় সকল কার্যক্রম।
আরও পড়ুন : বিএনপি নির্বাচন - আন্দোলনে পরাজিত হয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : কাদের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, পরিবেশ দূষণ রোধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশেই ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কোথাও কোন অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করা ৭০টি ইটভাটাতেই এ পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে আরও ৭টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৈধ-অবৈধ সাড়ে তিনশ’ ইটভাটা রয়েছে।
ইত্তেফাক/এমআরএম