বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

শিক্ষা কর্মকর্তার মামলায় গ্রেফতার হওয়া সেই শিক্ষক বরখাস্ত

আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:১৮

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সেই সহকারী শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার গ্রেফতার হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কায়েস আল কায়কোবাদ লাজুককে (৪০) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

এর আগে কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুকসহ তার দুই সহযোগী শামছুজ্জামান বাপ্পি (২৫), তৌহিদা আক্তার রুমা (৩২)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ২ টার দিকে পৌর শহরের বালুয়াপাড়া মোড় এলাকা থেকে মাদকসেবন অবস্থায় তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত লাজুক উপজেলার ধূরুয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে, তৌহিদা আক্তার (রুমা) পৌর শহরের সতিষা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে, শামছুজ্জামান বাপ্পি বোকাইনগর অষ্টগড় গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে।

ময়মনসিংহের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিউল হক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাসের ঘটনায় মামলা ও আরও একটি মাদক মামলায় ধুরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কায়েস আল কায়কোবাদ লাজুক গ্রেফতার রয়েছে এবং বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে, লাজুক মাস্টার প্রায় দেড় বছর যাবত বিদ্যালয়ে না গিয়েই বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতার দেখিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও শিক্ষা অফিস কোন ব্যবস্থা নিতে দিতেন না তিনি।

আরও পড়ুন: শিক্ষা কর্মকর্তার করা মামলায় স্কুল শিক্ষকসহ ২ সহযোগী গ্রেফতার

এ বিষয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম জানান, তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নিতে গিয়ে আরও বিপাকে পড়েন। এ শিক্ষক ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর থেকে অনুপস্থিত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন জানান, শিক্ষক লাজুক কিছুদিন আগে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষক বদলি করার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় ১৯ ও ২০ জানুয়ারি লাজুক তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি ও অন্যান্য আইডির মাধ্যমে অশ্লীল মন্তব্য এবং এডিটিং করা আপত্তিকর ছবি আপলোড দেন। 

 

ইত্তেফাক/আরআই