বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘হ্যালো ফ্রেন্ডস জেলে থাকতে পারি’, ধর্ষণের পর ফেসবুকে উল্লাস

আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ১০:০৫

কিশোরীকে ধর্ষণের পর ফেসবুকে এসে উল্লাস প্রকাশ করেছে চার কিশোর। শুক্রবার রাতে ওই চার ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। পরে তাদের মোবাইল থেকে ভিডিওটি উদ্ধার করা হয়।

এই কিশোরদের একজন ফেসবুকে এসে বলে, ‘হ্যালো ফ্রেন্ডস, আমরা আগামী কালকা হয়তো জেলে থাকতে পারি। না হয় বাড়ির আশেপাশে থাকতে পারব না। আর আমাদের মনে হয় আমি আর শরীফ দুইজনের থিকা একজন বিয়া করতে’...। এসময় পাশে থাকা অন্যরা হাসতে থাকে।

গ্রেফতাররা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের মো. জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬), একই জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯) ও গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০)। 

র‌্যাব-১ এর গাজীপুর ক্যাম্পের কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৫ জানুয়ারি বিকালে এক বান্ধবীর সহায়তায় ওই চার কিশোর জন্মদিনের কথা বলে কৌশলে গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বাসায় কিশোরীকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে কেক কেটে সবাই মিলে আনন্দ করতে থাকে। একপর্যায়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই কিশোরীকে এনার্জি ড্রিংসের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে পান করিয়ে অজ্ঞান করা হয়। পরে পাশের একটি ঝোঁপে নিয়ে কিশোরীর হাত, পা ও মুখ বেঁধে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর চার বন্ধু একটি সেলুনে গিয়ে উল্লাস করে। উল্লাসের ভিডিও করে তা আবার ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

এদিকে মামলার পর ধর্ষকদের পরিবার থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে কিশোরীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। 

কিশোরীর মা বলেন, মামলা করার পর আসামির পরিবার থেকে বলা হচ্ছে, মামলা নাকি তাদের লুঙ্গির মধ্যে বাঁধা থাকে। আর দুই চারদিন গেলে মামলা এমনিতেই পানি হয়ে যাবে।

ওই কিশোরীর মা আরও জানান, আসামি সুজনের বাবা লিটন মিয়া বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টি তিনি পুলিশকে অবহিত করেছেন।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব সংবাদমাধ্যমকে জানান, কিশোরীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেছেন। কিশোরীর পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

ইত্তেফাক/জেডএইচ