শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সেন্টমার্টিনে ভাসমান আরো এক নারীর লাশ উদ্ধার

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:১১

সেন্টমার্টিন সাগরে ভাসমান অবস্থায় আরো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে সাগরে ভাসমান মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হক। ধারণা করা হচ্ছে তিনিও ১১ ফেব্রুয়ারি ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে কেউ হবেন।   

নাঈম উল হক জানান, সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ডের টহল টিম টহলরত অবস্থায় সেন্টমার্টিন ছেঁড়াদ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিম পার্শ্বে ১১টার দিকে সাগরে ভাসমান একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। মরদেহটি মধ্য বয়সী নারীর। 

তিনি আরো জানান, কোস্ট গার্ডের এম. দেলোয়ার হোসেন  আরইএ-৪ এর নেতৃত্বে মরদেহটি বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাঠের বোট করে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।    

নৌপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার আশায় বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাতে টেকনাফের মহেশখালীয়াপাড়া এলাকা দিয়ে ট্রলারে উঠে শতাধিক রোহিঙ্গা। সেন্টমার্টিন উপকূলে গিয়ে ডুবে যায় একটি ট্রলার। মালয়েশিয়াগামীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী। দালালদের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন উপকূল পাড়ি দিতে গিয়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে ভাসমান অবস্থায় ১৫ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী। একই সঙ্গে আরও ৭৩ রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারদের দাবি মতে, ট্রলারে আরও অন্তত ৫০ রোহিঙ্গা ছিল। তাদের খোঁজে টানা অনুসন্ধান চালালেও শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সন্ধ্যায় এবং শনিবার দুপুরে পৃথক ভাবে দু'নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। 

অপরদিকে, ট্রলার ডুবির ঘটনায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ১৯ মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে নয়জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় তাদের মরদেহ এখনো রয়েছে মর্গে। আর আদালতের নির্দেশে ৬৯ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে স্ব স্ব ক্যাম্প ইনচার্জদের জিম্মায় দেয়া হয়।

ইত্তেফাক/আরকেজি