জামালপুরে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে দোয়ারীপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে অটোরিকশা চালক সোহাগ হোসেন (১৮) এর ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির আঙিনায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মা কাঞ্চন বেগম জানান, ২৫মার্চ বিকালে সোহাগ মিয়া একই এলাকার রফিকুল ইসলাম শ্যামল মিয়ার মেয়ে উর্মি খাতুনকে বিয়ে করার জন্য মেয়ের চাচা উজ্জল মিয়ার কাছে প্রস্তাব দেন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ মিয়াকে উজ্জল মিয়া বেধড়ক মারধর করেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার রাতে উজ্জল মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন লোক সোহাগ মিয়ার বাড়িতে পুনরায় হামলা চালায়। ফের মারধর করে সোহাগ মিয়াকে আহত করে। ওই রাতেই সোহাগ মিয়ার মা কাঞ্চন বেগম স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চাইতে যান। পরে সেখান থেকে কাঞ্চন বেগম বাড়ি ফিরে এসে দেখেন তার ছেলের লাশ গাছের ডালের ঝুলছে। এ খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান কিনু নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তবে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
মেষ্টা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হক বাবু কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোহাগ মিয়াকে মারধর ঘটনা জানতে পেরেছি। তবে এটা হত্যা না,আত্মহত্যা এখন বলা সম্ভব নয় বলে জানান।
জামালপুর নারায়ণপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ গ্রহণ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
ইত্তেফাক/কেকে