করোনা আতঙ্কে জামালপুরের মেলান্দহ হাসপাতাল এখন রোগৗ শূন্য। গত দিন যাবত হাসপাতালের এমন চিত্র দেখা গেছে। বহির্বিভাগ-ভর্তিরোগিসহ গাইনি, ডায়রিয়া ওয়ার্ডেও দেখা গেছে এমন চিত্র। ইমার্জেন্সি রোগী আসলেও সংখ্যায় খুব কম।
করোনার ভয়ে নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি ডাক্তার-নার্সরাও দূরত্ব বজায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। হাতে গোনা কিছু রোগী আসলেও শুধু চিকিৎসা নিয়েই চলে যাচ্ছেন। রোগীও হাসপাতালে ভর্তি হবার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সবার মাঝে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। আগে দৈনিক তিন শতাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসতো। এখন ৪০জনের মতো রোগী আসেন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে পুরুষ-মহিলা-গাইনী-ডায়রিয়া ওয়ার্ডও রোগী শূন্য।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু, চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ স্বজনের
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক জানান, নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে না। ইমার্জেন্সিতে রোগি আসছে। ট্রিটমেন্ট দিচ্ছি। অযথা রোগী গেদারিং করতে বারণ করা হচ্ছে। করোনা রোগী কোয়ারেন্টাইন নেই। নতুন আক্রান্ত নেই।
এদিকে হতদরিদ্র মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়েছে। এ মতাববস্থায় ১০ মে. টন চাল এবং ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাবার কথা জানান প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামিন জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার মানুষের মাঝে চাল, ডাল, আলু এবং সাবান বিতরণ শুরু হয়েছে। হতদরিদ্রদের তালিকা বাছাই চলছে। তাদের জন্য অতিরিক্ত বরাদ্দের চাহিদা প্রেরণ করা হবে।
ইত্তেফাক/বিএএফ