বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

জীবনের ঝুঁকিতে মেলান্দহের কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা

আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৬:৪৪

করোনা আতংকের মধ্যেও জামালপুরের মেলান্দহের ৪১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। করোনা মোকাবেলায় এই স্বাস্থ্যকর্মীদের  পিপিই’র ন্যায় অন্যান্য সার্পোটিং নেই। তবুও সেবা প্রদানে থেমে নেই তারা। 

করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে রোগির সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ রোগীই চিকিৎসা নিতে ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে। সারাদেশ লকডাউনে থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের লোকজন এখন গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেয়ায় সিএইচসিপিতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। 

মেলান্দহের স্বাস্থ্যকর্মী জুলেখা ও ঈশিতা আক্তার জানান, দৈনিক গড়ে অর্থ শতাধিক রোগি আসতো। আগের তুলনায় রোগী বাড়ছে। করোনা মোকাবেলায় বরাদ্দকৃত সরকারি ওষুধ ছাড়া আমাদের সুরক্ষায় গ্লাভস, পিপিই, মাস্ক এবং অন্য কোন সাপোর্ট নেই। গ্রামের মধ্যে সর্দি-কাশি-জ¦রঠান্ডা জনিত রোগীই বেশি আসে। এগুলো করোনা রোগের লক্ষণ মনে করে চিকিৎসা দিতেও সাহস পাচ্ছি না। 

ময়মনসিংহ বিভাগীয় সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন এবং মেলান্দহ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল্লাহ জানান, জামালপুর জেলার ২৯৬টি সিএইচসিপির স্বাস্থ্যকর্মীরা চরম ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছে। জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে করোনা মোকাবেলায় এসব স্বাস্থ্যকর্মীর সাপোর্ট খুবই প্রয়োজীয় হয়ে পড়েছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক স্বাস্থ্যকর্মী এবং গ্রামের মানুষদের সমস্যা সমাধানে একমত পোষণ করে বলেন, আমরা এগুলোর সাপোর্ট দিতে পারছি না। আশা করি এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন। 

ইত্তেফাক/এসআই