শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চিকিত্সাসেবায় অনন্য ভূমিকা রাখছে কুমুদিনী হাসপাতাল

আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২০, ০২:৫২

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও কুমুদিনী হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিত্সাসেবা কার্যক্রম চলছে। এখানে বিনা খরচে থাকা-খাওয়াসহ স্বল্পখরচে উন্নত চিকিত্সাসেবা প্রদান করা হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। মানবসেবা ও চিকিত্সাসেবা কার্যক্রমের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে পেয়েছে স্বাধীনতা পুরস্কার। কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা বলেন, ‘দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বুধবার (১ এপ্রিল) হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ওয়ার্ড ও কুমুদিনী কমপ্লেক্স পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ‘দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ১৯৩৮ সালে কুমুদিনী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। কম খরচে উন্নত চিকিত্সার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। হাসপাতাল ঘিরে কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমস নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মাত্র ২০ টাকার টিকিটে রোগীরা চিকিত্সা পেয়ে থাকেন।

১ হাজার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ রোগী চিকিত্সা পেয়ে থাকেন। ৯০০ থেকে ১ হাজার ১০০ রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকেন। এখানে মেডিসিন, অর্থোপেডিক্স, সার্জারি, মা ও শিশু, দন্ত, চক্ষু, গাইনি ও অবস বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকগণ সেবা দিয়ে থাকেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্বল্প খরচে রয়েছে অত্যাধুনিক ল্যাব। আইসিইউ, সিটিস্ক্যান, কিডনি ডায়ালাইসিস ও কোমোথেরাপির ব্যবস্থা রয়েছে। অসহায় ও গরিবদের জন্য বিনা খরচে চিকিত্সার ব্যবস্থা রয়েছে।

কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিত্সা নিতে আসা ফাতেমা বেগম (৪৫) ও আশরাফুল ইসলাম (৫৩) বলেন, ‘অল্প খরচে ভালো চিকিত্সাসেবা কেন্দ্র কুমুদিনী হাসপাতাল। এখানে সকল ধরনের সেবা পাওয়া যায়।’ কুমুদিনী নার্সিং স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল সিস্টার রীনা ক্রুস ও মেট্রন সিস্টার দিপালী পেরেরা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কুমুদিনী হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পিপিইসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল প্রকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খাদ্যসামগ্রীও বিতরণ করা যাচ্ছে।’ কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি.-এর পরিচালক (শিক্ষা) ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রতিভা মুত্সুদ্দি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগের মধ্যেও স্বাভাবিক চিকিত্সাসেবা চালু রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা বহির্বিভাগ এবং অন্তঃবিভাগে চিকিত্সা পাচ্ছেন। ইন্টার্ন, বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক এবং নার্সগণ একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা ও তার সহধর্মিণী সম্পা সাহা কুমুদিনী কমপ্লেক্সে অবস্থান করে চিকিত্সা নিতে আসা রোগী এবং ডাক্তার, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।’

ইত্তেফাক/এসআই