শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রমেকে ওয়ার্ড ইনচার্জের মাধ্যমে সরকারি ওষুধ চুরি, গ্রেফতার ১

আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩৫

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওষুধ চুরির পর পাচারের সময় এক নারীকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ দামি ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ। এ ঘটনায় হাসপাতালের কেউ বাদি না হওয়ায় সরকারি সম্পদ রক্ষায় পুলিশ নিজেই বাদি হয়ে ওষুধ চুরিতে সম্পৃক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয়দের দাবি, সরকারি ওষুধ চুরির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। উন্মোচন করা হোক এর পেছনে থাকা মুখগুলো। 

আটক ওই নারীর নাম মোছা. শিরিন বেগম (২৮)। তিনি রংপুর মহানগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের কেল্লাবন্দের বাসিন্দা আবু বক্করের স্ত্রী। 

রংপুর আরপিএমপি কোতয়ালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে রমেক হাসপাতালের ৫ম তলার ১৮নং ওয়ার্ডের সামনে থেকে পলিব্যাগে করে চুরি করা ওষুধগুলো পাচার করা হচ্ছিল। এসময় ওই নারীকে আটক করেন আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানাধীন নবাবগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। তার কাছ থেকে ৯৮ পিচ ইনজেকশন, একশ পিচ সিরিঞ্জ, সাত পিচ ক্যাথেটার এবং পাঁচ পিচ ইউরিন ব্যাগসহ বিপুল পরিমাণ ওষুধ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: মুদি দোকানে বসতে নিষেধ, পরে রণক্ষেত্র

মামলার বাদি নবাবগঞ্জ ফাঁড়ির টিএসআই আব্দুস সবুর জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭নং ওয়ার্ডের ইনচার্জ মোছা. সুলতানা পারভীন দীর্ঘদিন যাবত সরকারি বিভিন্ন ওষুধ বিভিন্ন জনের মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন বে-সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ফার্মেসিতে বিক্রি করে আসছেন। আটক শিরিন বেগমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকেসহ সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলা বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজি না থাকায় সরকারি সম্পদ রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে পুলিশ নিজেই বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

এ ব্যাপারে আরপিএমপি রংপুর কোতয়ালী থানার ইনচার্জ আব্দুর রশিদের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি উপস্থাপনের আগেই পরিচয় দেওয়া মাত্র তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, আমি একটা ঝামেলায় আছি। পরে দেখা করেন।

অপরদিকে রমেক হাসপাতালের সুপারিটেন্ডকে বহুবার ফোনে চেষ্টা করা হলো তিনি ফোন ধরেন নি এবং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফিরতি ফোনও করেননি। একই অবস্থা রমেক অধ্যক্ষেরও।

ইত্তেফাক/এসি