শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নিকলী হাট-বাজারে মানুষের ভিড়

আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৩২

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের তৎপরতায় কর্মচাঞ্চল্য উপজেলার সার্বিক জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। কিন্তু নিকলী উপজেলার গ্রামীণ জনপথ আর হাটবাজারগুলোতে এখনও লোকজনের ভিড় লেগেই আছে। তবে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ,  পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কর্মক্ষমসহ সাধারণ মানুষ এখন পরিবার পরিজন নিয়ে গৃহবন্দী থাকলেও কাজকর্ম না থাকায় একেবারে গরিব লোকজন পড়েছে বিপাকে। তাদের অনেকে প্রতিদিনের খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষেরা নিয়ম না মেনে জীবিকার তাগিদে বের হচ্ছে ঘর থেকে।

সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার সদরের মানুষজন অনেকটা সচেতন থাকলেও গ্রামের মানুষদের অনেকেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে ধারনা নেই।ফলে  সদরের তুলনায় সাতটি ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপথ আর হাটবাজারগুলোতে লোকজনের ভিড় লেগেই রয়েছে।  

নিকলী সদরের মুক্তিযোদ্ধা গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, উৎসবভিত্তিক ছুটির মতো নানা শ্রেণী পেশার মানুষ গ্রামের বাড়িতে এসে হাটবাজার ও চা-স্টলে আড্ডা দিচ্ছে। তারা করোনা রোগ নিয়ে কোন আমলই নিচ্ছে না। এ বিষয়ে সচেতন করতে প্রশাসনের আরও তৎপর হতে হবে।

নিকলী উপজেলার সদর বাজারের পল্লী চিকিৎসক হাজি মিল্টন মিয়া বলেন, এই মৌসুমে সর্দি-জ্বর হওয়াটা স্বাভাবিক। গ্রামের অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক থাকলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এখনো প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তাঘাটে ও বাজারগুলোতে প্রতিদিন লোকজনরা আড্ডা দিচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আইনজীবী বলেন,উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে রড-সিমেন্ট, হার্ডওয়্যার-প্লাস্টিক সামগ্রীর বড় বড় দোকান খোলা রাখার সুযোগে ছুটিতে আসা কর্মক্ষম মানুষ গ্রামে এসে তাদের বাসা-বাড়ির নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করাচ্ছেন। এতে করে সামাজিক দূরত্ব পরিবেশ বিঘ্ন হচ্ছে।
 
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কারার সাইফুল ইসলাম জনপ্রতিনিধিদের খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, জাতীয় এই দুর্যোগকালে নেতা-কর্মি ও জনপ্রতিনিধিরা মাঠে থাকবেন এটাইতো প্রত্যাশা।
নিকলী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সামছুদ্দিন মুন্না বলেন, জনগণ সচেতন না হলে প্রশাসন কত বুঝাবে। তাদের সচেতন হতে হবে।এক দিকে দোকারপাট বন্ধ করে আসলে এটু পরেই আবার খুলে বসে। নিকলী তেরটি হাট-বাজার সামাল দিতে প্রশাসনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমআরএম