১০বছর ধরে প্রেম, অতপর বিয়ে। বিয়ের ১০ মাস পর স্ত্রীকে অস্বীকার করছে এক পুলিশ কনস্টেবল। কোন উপায় না পেয়ে গত ৩দিন ধরে স্ত্রীর দাবি নিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করছে এক কলেজছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায়।
জানাগেছে, উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামের আব্দুর রব ফকিরের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল সাজ্জাদ হোসেন জুয়েলের সঙ্গে একই গ্রামের এক কলেজছাত্রীর দীর্ঘ ১০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এই প্রেমের সম্পর্কের সূত্রে ধরে ১০মাস আগে তারা দুজনে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঢাকায় গোপনে বসবাস করেছে বলে জানিয়েছেন ওই কলেজছাত্রী।
সম্প্রতি পুলিশ কনস্টেবল সাজ্জাদ হোসেন জুয়েল এই বিয়ের সম্পর্ক অস্বীকার করেন। এরপর কোন উপায় না পেয়ে ওই কলেজছাত্রী সাজ্জাদ হোসেন জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে উঠেন। স্ত্রীর মর্যদা না দিলে তিনি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ওই কলেজছাত্রী বলেন, স্কুল জীবন থেকেই আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। এরই মধ্যে দিয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জুয়েলের চাকরি হয়। চাকরির পরেও আমাদের সম্পর্ক অব্যহত থাকে। গত জুলাই মাসে আমরা ঢাকার জজকোর্টে গিয়ে বিয়ে করি। তখন দেড় লাখ টাকা দেনমোহর ধরা হয়। বিয়ের পর আমরা দুজনে ঢাকার বিভিন্নস্থানে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকি। বর্তমানে জুয়েল আমাকে অস্বীকার করছেন। আমি জুয়েলকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি। সে কোন ভাবেই আমাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছেন না। ও যদি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দেয় তা হলে আমি এই বাড়িতে আত্মহত্যা করবো। জুয়েল বর্তমানে ঢাকার আশুলিয়া থানায় কর্মরত আছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য সাজ্জাদ হোসেন জুয়েলের মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেনি। তবে তার বড় ভাই নাজমুল হাসান বাবু বলেন, বিয়ের বিষয়টি আমরা শুনেছি। এখন যদি সে তার স্ত্রীকে না রাখে তবে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়।
আশুলিয়া থানার ওসি শেখ দিপু বলেন, সাজ্জাদ হোসেন জুয়েল নামে কোন কনস্টেবল আমার থানায় নাই।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, ওই কলেজছাত্রীর পক্ষ থেকে যদি আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় তাহলে তাকে আইনি সহায়তা দিব।
ইত্তেফাক/আরকেজি