রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা প্রকল্পের একটি খালের বাঁধ (পাড়) ভেঙে শতাধিক হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (এসি) আব্দুস শহীদ সরেজমিন তদন্ত কালে জানান, বাঁধে ইঁদুরের গর্ত করায় খালের পাড় নরম হয়ে ভাঙনের এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি। এছাড়াও তদন্ত চলছে অন্য কোন কারণ আছে কি না।
রবিবার ভোরে তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা দোলাপাড়া গ্রামে তিস্তা সেচ প্রকল্পের বগুড়া সেচ খালের প্রায় ৬৫ ফিট বাঁধ(পাড়)ভেঙে অনন্তপুর,কাজীপাড়া,হাজীপাড়া শেরপুর সহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শতাধিক হেক্টর জমির ইরি-বোরো ও রবি শস্যের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়াও গ্রাম গুলোতে থাকা পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে যায়।
তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার অশোক কুমার রায় জানান,ইরি-বোরো ক্ষেত ১০০ হেক্টর,পাটক্ষেত ৫ হেক্টর,সবজি ৩ হেক্টর,ভুট্টা ১০ হেক্টর ও অন্যান্য সহ মোট একশত ৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান,ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনে সঠিক বলা যাচ্ছে না,পানি নেমে গেলে তা নির্ধারণ করা যাবে। পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কুর্শা দোলাপাড়া গ্রামের ওসমান আলী,সাদেকুল,ও অনন্তপুর গ্রামের আরজ আলী,আহসানুল সহ কয়েকজন জানান,সকালে ওঠে গ্রামবাসী পানির শো-শো আওয়াজ পেয়ে গিয়ে দেখেন উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বয়ে যাওয়া ক্যানেলের পূর্বদিকের বাঁধ ভেঙে ফসলি জমি সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ফসলের ক্ষেত পানির নিচে,বাড়ি ঘরেও পানি উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সৈয়দপুর অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল রায় জানান,ইঁদুরের গর্ত দিয়ে পানি যেতে যেতে বড় গর্তে পরিণত হয়ে এ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি। এছাড়াও ক্যানেলে পানির তীব্রতা বেশি থাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থা নিয়ে পানি অন্যত্র বের করে দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি
ইত্তেফাক/আরএ