ভারত থেকে দেশে ফেরত আসা গত দুইদিনে ১০০ বাংলাদেশিকে বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টার কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ভারত ফেরত যাত্রীদের সীমান্তের আশপাশের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো।
সোমবার ৫২ জন ও মঙ্গলবার ৪৮ জন বাংলাদেশি বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন। এদেরকে বেনাপোলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফেরত আসা ব্যক্তিদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ সফিউল আরিফ এর নেতৃত্বে করোনা প্রতিরোধের পুর্ব প্রস্তুতি হিসাবে প্রাতিষ্ঠানিক কয়েকটি ভবন পরিদর্শনের পর বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টারকে কোয়ারেন্টাইন হিসাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। এ সময় এলাকার জনগণ আতঙ্কিত হয়ে এদের অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার দাবি তোলেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বুঝিয়ে বলেন- এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। এরা সংক্রামিত নয়। এদের এখানে প্রাথমিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন রাখা হবে। এরপর এরা বাড়ি চলে যাবে।
যশোর জেলা সিভিল সার্জন শেখ আবু সাহিন বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এদের প্রাথমিকভাবে সীমান্তের যে কোন জায়গায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এরপর যদি পরীক্ষা নিরীক্ষায় কেউ করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করলে তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য এখান থেকে নিয়ে যাব।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান কবির জানান, ফেরত আসাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে আরো কিছু যাত্রী ভারত থেকে আসবে বলে তাদের কাছে খরব আছে। তবে কি পরিমাণ আসবে তা জানা নেই।
শার্শা উপজেলা সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম বলেন, যারা ভারত থেকে আসবে তাদের প্রাথমিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, এদের খাবার ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উপজেলা থেকে ব্যায় করা হবে।
বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, পৌর বিয়ে বাড়ি আগে থেকে ব্যবহার উপযোগী ছিল। তবে ট্রাক টার্মিনালের ভবনটি উদ্বোধনের অপেক্ষায় ব্যবহার করা হয়নি। তারপরও সেটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য দেয়া হয়েছে। যারা বেনাপোল পৌর এলাকায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টানে থাকবে তাদের সুযোগ সুবিধা বেনাপোল পৌরসভা থেকে দেখা হবে।
ইত্তেফাক/ইউবি