শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নারায়ণগঞ্জে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে সাধারণ রোগী

আপডেট : ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০৩:১০

গত ১০ দিনের ব্যবধানে রোগের উপসর্গ গোপন করে তিন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিত্সা নিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া হিসেবে পরিচিত) জরুরি বিভাগে। তাদের চিকিত্সা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালটির একজন নার্স, একজন ওয়ার্ডবয় এবং একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক। সে কারণে বন্ধ হয়ে গেছে জরুরি বিভাগের কার্যক্রম। আর হাসপাতালের নার্সসহ তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগীর খবরে ইতিমধ্যে পালিয়ে গেছে অন্যান্য ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী। হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিত্সক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে নতুন করে কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর না মিললেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে আসা রিপোর্টে ঐ তিন (একজন নার্স, একজন ওয়ার্ডবয় এবং একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক) করোনায় আক্রান্ত নিশ্চিত হলে তাত্ক্ষণিকভাবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা আসে। ঐ তিন জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত জরুরি বিভাগ খুলে দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটিতে কর্মরত চিকিত্সক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকলের মধ্যেই আতঙ্ক ও ভীতি বিরাজ করছে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের রসুলবাগ এলাকাতে একজন নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে ঐ নারীকে ১০০ শয্যা হাসপাতালে আনা হয় প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য। এছাড়াও পরবর্তীতে আরো দুই জন আক্রান্ত রোগী রোগ গোপন করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিত্সা নিয়েছেন। এসব কারণে জরুরি বিভাগের কয়েকজনকে এর আগেই হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়। তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে আসা রিপোর্টে একজন নার্স, একজন ওয়ার্ডবয় ও একজন অ্যাম্বুলেন্স চালকের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। ঐ তিন জনকে ইতিমধ্যে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সে কারণেই আপাতত জরুরি বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর খবরে রাতেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা অন্যত্র চলে গেছে। তবে বাকি চিকিত্সক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকের নমুনা আইইডিসিআর থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলেও গতকাল পর্যন্ত কারোরই রিপোর্ট আসেনি। তাই বাকিদের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে কারণে পুরো হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

ইত্তেফাক/এসআই