বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বড়াইগ্রামে পাখি শিকার করা সেই গ্রামবাসীর ক্ষমা প্রার্থনা

আপডেট : ২২ মে ২০২০, ২২:৪৯

নাটোরের বড়াইগ্রামে আম্ফানের কবলে পড়ে অসহায় হয়ে পড়া শতাধিক শামুকখোল পাখি জবাই করে খাওয়ার সংবাদ ইত্তেফাকসহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ইউএনও এবং বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

শুক্রবার বিকালে তারা উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে গিয়ে সরেজমিনে পাখির আবাসস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং যারা পাখি ধরে জবাই করে খেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

এ সময় ইউএনও আনোয়ার পারভেজ, রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর, ফরেষ্টার আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের ভেটেরেনারী সার্জন ডা. উজ্জল কুমার কুন্ডু, বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি অহিদুল হক, সাংবাদিক আব্দুল আওয়াল মন্ডল, স্থানীয় পাখিপ্রেমী আব্দুল কাদের সজল ও প্রভাষক মহসিন আলীসহ আনসার ভিডিপির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তারা পাখি খেকো লোকজনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পাখির মাংস রান্না করে খাওয়ার প্রমাণ পান। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আসার খবর পেয়েই তারা আগেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার পারভেজ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্তরা আগেই পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে ভবিষ্যতে পাখিদের আর কেউ ক্ষতি করবে না মর্মে গ্রাম প্রধানদের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেয়া হয়েছে। 

রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জানান, তারা খুবই গৃহীত কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া অল্পদিনের মধ্যে জায়গাটিকে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল ঘোষণা করে সাইনবোর্ড লাগানোসহ পাখি রক্ষায় অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। 

ইত্তেফাক/কেকে