ঈশ্বরদীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খাইরুন্নাহার শাপলা (২৩) নামে এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন।তিনি ছলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারী পশ্চিমপাড়া (ওয়াপদা গেট) এলাকায় বসবাস করতেন।
নিহত কলেজ ছাত্রীর ফুফাতো ভাই সাজেদুল হক জানান, শুক্রবার বিকেলে জয়নগর ওয়াপদা গেটের সম্মুখের বাড়িতে টিউবওয়েলে পানি তোলার জন্য সংযুক্ত মোটরের সুইচ অন করতেই বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে জায়গাটি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল এটা বাড়ির লোকজন আগে থেকে কেউই বুঝতে পারেননি। নিহত ছাত্রী ঈশ্বরদী মহিলা ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী এবং আব্দুল খালেক বিশ্বাসের মেয়ে।
এদিকে ঝড়ে বিদ্ধস্থ হওয়া এগার হাজার কেভি লাইনের তারে জড়িয়ে ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া গ্রামে সকাল দশটার দিকে বিদ্যুতের লাইন মেরামতের সময় আব্দুল বারী মালিথা (৫৫) তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। দ্রুত তাকে ঈশ্বরদী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পেশায় রাইচ মিলের ড্রাইভার আব্দুল বারী ভাড়ইমারী স্কুলপাড়ার মৃত হারেজ উদ্দিন মালিথার পুত্র বলে জানা গেছে।
এলাকার কাজল সরদার জানান, সকালে বারী স্থানীয় একটি রাইচ মিলে কাজ করতে গেলে উত্তরপাড়ার নুর আমিন প্রামাণিকের ছেলে পিয়াস তাদের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য ডেকে নিয়ে যায়। বুধবার দিবাগত রাতের ঘূর্ণিঝড়ে ওই এলাকার পল্লী বিদ্যুতের লাইনের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। মেরামতের সময় ১১ হাজার কেভি এই লাইনের তারে বারী জড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এসময় বাঁশ দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তার থেকে মুক্ত করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও আগেই তিনি মারা যান।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বাহাউদ্দিন ফারুকী দুটি মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
ইত্তেফাক/কেকে