বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে মাসের বেতন, শ্রমিকদের দেওয়া হয়েছে সপ্তাহের!

আপডেট : ২৩ মে ২০২০, ০৪:৩০

বাগেরহাটের ফকিরহাটে মুন স্টার জুট মিলে বেতন বোনাসসহ প্রতারনার মাধ্যমে শ্রমিকদের ব্যাংক একাউন্টের চেকে স্বাক্ষর নেওয়ায় কর্মবিরতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ দ্বারে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট করেছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  বিক্ষোভ সামাবেশ ও মিছিল করে নারী-শিশুসহ প্রায় ৪ শাতাধিক শ্রমিক।

শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা বলে সাইথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লি. এ একাউন্ট খোলার নামে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জামা নিয়ে কয়েকটি কাগজে স্বাক্ষর নেয়। খোলা হয় শ্রমিকদের নামে একাউন্ট। তবে তাদেরকে ওই একাউন্টের কোন চেকবই বা জমাবই দেওয়া হয়নি। পৃথক পৃথক শ্রমিকদের নামে খোলা একাউন্টের নোমিনি কাকে করা হয়েছে তাউ জানেন না একাউন্ট হোল্ডার ভুক্তভোগী শ্রমিকরা। পরবর্তীতে শ্রমিকদের একাউন্টে টাকা জমার বার্তা আসে তাদের মোবাইল নাম্বারে। ওই একাউন্ট থেকে টাকা উাত্তলনের জন্য চেক নিয়ে আসে জুট মিলের কর্মকর্তারা। বেতন-বোনাস দেওয়ার কথা বলে শ্রমিকদের কাছ থেকে ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর নেয় জুট মিলের কর্মকর্তারা। তাদের এক মাসের বেতনের জন্য চেকে স্বাক্ষর নিয়ে এক সপ্তাতের বেতন দেওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জুটমিলের সামনে শ্রমিকরা কর্মবিরতির মাধ্যমে বিক্ষোভ করলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। 

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছয়ের উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, জুট মিলের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা শ্রমিকদের বকেয়া বেতন দিয়ে দিবে। ঈদের পর বোনাস দিবে। বোনাস না দিলে শ্রমিকদের আমার সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে।  

মুন স্টার জুট মিলের ব্যাবস্থাপক রাজু আল ফারুক বলেন, কিছু অসাধু কর্মচারীর উস্কানিতে শ্রমিকরা বিক্ষিপ্ত আচারণ শুরু করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয়েছে। র্দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ভয়ে বন্ধ ছিল। তাই ঈদ বোনাস দিতে একটু দেরি হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা নিজেরাই তাদের ব্যংক একাউন্ট খুলেছে। আমরা তাদের কোন চেকে স্বাক্ষর নেইনি। প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে একটি চক্র শ্রমিকদের উস্কানি দিচ্ছে। 

ইত্তেফাক/কেকে