শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটে বন্যা

আপডেট : ২৭ মে ২০২০, ০৪:২৫

পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, উপজেলার বিভিন্ন নদী খাল ভরাট হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু স্থানে ফসলের মাঠও প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের কাছে সুরমার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে । 

এদিকে সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ নিচু এলাকার অনেক  বাড়িঘর। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে  শত শত মানুষ।  

পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট সারী-গোয়াইন, সিলেট সালুটিকর-গোয়াইনঘাট, জাফলং রাধানগর গোয়াইনঘাট-সোনার হাট-গোয়াইনঘাট সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। 

এসব সড়কে কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমর পানি। মানুষ নৌকায় করে যাতায়াত করছেন । রাতে ঝড় বৃষ্টি  ও আকাশে মেঘের ডাকে পরিস্থিতি আরও বিভীষিকাময় হয়ে উঠে । 

পাথর শ্রমিকরা জাফলং, বিছনাকান্দি, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর পাথর কোয়ারি, বড় গাঙ্গ ও সারী নদীতে বালু উত্তোলন করতে পারছে না। 

পাহাড়ি ঢলে পশ্চিম জাফলং গোয়াইন, পিরিজপুর, কর্নি, আলীর গ্রাম, ছাতারগ্রাম, লাবু, পরগনা, ফেনাই কোনা, পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের জাফলং চা বাগান, মমিনপুর, আসাম পাড়া, আসামপাড়া হাওর, চৈইলাখেল নবম খণ্ড, সানকিভাঙা, বাউরভাগ, বাউরভাগ হাওর, আলীরগাঁও ইউনিয়নের নাইন্দা, তিতকুলি, বুদিগাঁও, লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের লেঙ্গুড়া, লেঙ্গুড়া হাওর, সিটিংবাড়ি, সিটিংবাড়ি হাওর, পাবিজুরি, বাগালতি, পরকুড়ি বিলেরপার, বলালোর পার, সতির হাওর, নিয়াগুল হাওর, গুরকচি, গুরকচি হাওর, দ্বারিখাই হাওর, ধুরারবন্দ, রুস্তমপুর ইউনিয়নের নিম্ন এলাকার টেকনাগুল, মাটিকাপা, বীর মঙ্গল, বীর মঙ্গল হাওর, জামকান্দি, নিজধরগ্রাম হাওর, গোজারকান্দি, কাঠালবাড়ি প্রভৃতি গ্রাম বানের পানিতে ডুবুডুবু অবস্থায় । 

ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার ফসলের মাঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আউশের বীজতলাসমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। ঢলে প্লাবিত হয়েছে ১০ থেকে ১৫ হেক্টর আউশের বীজতলা ও প্রায় ৩০ হেক্টর বোনা আউশসহ ৫ হেক্টর সবজিতলা বানের পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. সুলতান আলী জানান, পানিতে নিমজ্জিত এসব বীজ ও সবজিতলা ২-৩ দিনের মধ্যে শুকিয়ে গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হবে না।  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সারি নদীর পানি  মঙ্গলবার বিকাল পৌনে পাঁচটায় বিপদসীমার ০.৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

ইত্তেফাক/ইউবি