বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নাগরপুরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাইকে পিটিয়ে জখম

আপডেট : ২৯ মে ২০২০, ১৭:৩০

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় বাক প্রতিবন্ধী এক মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় তার বড় ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে স্থানীয় বখাটেরা। সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন সন্ধ্যায় উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের সেহলাইদ  গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত বড় ভাই কলেজ ছাত্র রিপন (২০)কে আহত অবস্থায় নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন নাগরপুর থানায় অভিযোগ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে ভুক্তভোগী পরিবারটি জানায়।

জানা যায়, উপজেলার সেহলাইদ গ্রামের আবুল হোসেনের বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে সোহাগীকে একই এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সোহেল, লাভলু মিয়ার ছেলে বাপ্পি, সুভাষ মিয়ার ছেলে সজিব, হারান মিয়ার ছেলে এনামূল ও দুলাল মিয়ার ছেলে তায়েবুর পথে ঘাটে প্রতিনিয়ত উত্যক্ত করতো এবং কু প্রস্তাব দিত। বিষয়টি সোহাগীর ভাই রিপন বখাটে সজিবের চাচাতো ভাই রাকিবুল হাসান লিন্টুকে জানিয়ে এর বিচার চায়। লিন্টু রিপনকে বখাটেদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা ঈদের দিন সন্ধ্যায় সেহলাইদ মাঠ সংলগ্ন পুকুরের কোনায় বাক প্রতিবন্ধী সোহাগীর ভাই রিপনের পথ আগলে বিচার দিলি কেন বলে পেটাতে থাকে। পিটিয়ে রিপনকে রক্তাক্ত জখম করে এসময় রিপনের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বখাটেরা পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ আরিচা-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বিড়ম্বনা, গাদাগাদি করে ফেরি পারাপার

পরে আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে রাতেই নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সজিব রিপনকে পেটানোর কথা স্বীকার করলেও ইভটিজিংয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

ভাদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর আমি ভুক্তভোগী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে খোজ খবর নিয়েছি।  

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলম চাঁদ এ ব্যাপারে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি থানায় কর্মরত একজন কনস্টেবল ঈদের দিন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঘটনাস্থলে যেতে বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইত্তেফাক/ এমএএম