দেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ঢাকা-বরিশালসহ ৩৪টি জেলায় লঞ্চ ও সরকারি স্টিমার চলাচল শুরু হবে রবিবার থেকে। সে লক্ষে আজ শনিবার থেকে ঢাকার সদরঘাট এলাকায় দীর্ঘদিন অলস পড়ে থাকা লঞ্চ ও বিআইডব্লিউটিএর স্টিমার গুলি পরিষ্কার করে চলাচলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গ্রীন লাইন ওয়াটার সার্ভিস ঢাকার লালকুঠি এলাকা থেকে রবিবার সকাল ৮টায় ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এর পরপরি ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চ ও শরিয়তপুর উদ্দেশে সকাল সার্ভিসের চলাচল শুরু হবে।
বিকাল পাঁচটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা পটুয়াখালী ও পিরোজপুর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। সন্ধ্যা ছয়টায় সরকারি স্টিমার মধুমতি বাদামতলী ঘাট থেকে বরিশাল, মোড়লগঞ্জ ও খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচারক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লঞ্চ মালিক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রাণালয় এবং বিআইডব্লিউটিএর যৌথভাবে লঞ্চ ও স্টিমার রবিবার থেকে চলাচল করবে। ঢাকা, বরিশাল, চাঁদপুর, শরিয়তপুর, মুলাদী, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, খুলনা ও মোড়লগঞ্জসহ ৩৪ টি নৌরুটে নিয়মিত যাত্রী সেবায় নৌযান চলাচল করবে।
এমভি পারাবত লঞ্চ কোম্পানির মালিক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, করোনা মোকাবেলা ও করোনা রোধে যাত্রীদের দূরত্ব বজায় রাখতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অর্ধেক যাত্রী বহন করার জন্য লঞ্চের মাস্টার ও স্টাফদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি এখনও লঞ্চ মালিক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
শনিবার বিকালে বিআইডব্লিউটিএর লঞ্চ মালিক সমিতি ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় ভাড়া নতুন করে ঠিক করা হবে বলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
লঞ্চ ও স্টিমার চলাচল শুরু হওয়ায় দক্ষিণ অঞ্চলের হাজার হাজার নৌ যাত্রীরা তুলনামূলক কম খরচে যাতায়াত করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। পরে যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে লঞ্চ মালিক সমিতির কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
ইত্তেফাক/আরকেজি