মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বাঁধ কেটে জলাবদ্ধ ২শ বিঘা জমির ফসল রক্ষা

আপডেট : ৩০ মে ২০২০, ১৩:৩২

বাঁধ কেটে জলাবদ্ধতা থেকে ২শ বিঘা জমির ফসল রক্ষা করলেন কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার কয়েকশ কৃষক ও স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আতিকুল ইসলাম, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কীর্ত্তনীয়া, বিএডিসি (সেচ) উপ-প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, ওড়াকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল আলম বিটুল, ইউপি সদস্য পিমুলসহ গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে ঠিকাদারের দেয়া বাঁধ কেটে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। এ সময় ওই এলাকার বেশ কয়েকটি অবৈধ বাঁধও কেটে দেয়া হয়। এতে ওই বিলের প্রায় ২শ বিঘা জমির ফসল রক্ষা পায়।

পোনার মুন্সীডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শাহজাহান মুন্সী জানান, কাশিয়ানী-রাহুথড় সড়কের পোনা এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য বিকল্প রাস্তা হিসেবে ঠিকাদারের লোকেরা একটি বাঁধ নির্মাণ করে। এছাড়া স্থানীয় কিছু লোক ওই এলাকার পানি নিষ্কাশনের সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে। এতে মুন্সীডাঙ্গার বিল থেকে বৃষ্টি ও জোয়াড়ের পানি বের হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধ হয়ে ওই এলাকার প্রায় ২শ বিঘা জমির ধান, পাট ও তিল পানিতে ডুবে নষ্ট হতে যাচ্ছিলো।

কৃষক নবীর শেখ বলেন, ‘পানি চলাচলের পথে বাঁধ নির্মাণ করায় আমাদের কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। আমরা কোন উপায় না পেয়ে ইউএনও স্যারের কাছে ছুটে যাই। তিনি কয়েক ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বাঁধ কেটে দিয়ে আমাদের ফসলি জমিকে রক্ষা করেন। এ জন্য আমরা ইউএনও স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানাই।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘পোনার মুন্সীডাঙ্গা এলাকার কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছিল। স্থানীয় কৃষকদের মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে সেখানে গিয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজে বিকল্প রাস্তা হিসেবে তৈরী করা বাঁধ কেটে পানি বের করার ব্যবস্থা করি। এ সময় বেশ কয়েকটি অবৈধ বাঁধ ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করে পানি চলাচল স্বাভাবিক করে দিতে দখলদারদের নির্দেশ দিয়েছি।’


ইত্তেফাক/আরকেজি