শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চীফ হুইপের সঠিক নির্দেশনায় শিবচরে করোনার প্রভাব রয়েছে সীমিত

আপডেট : ৩১ মে ২০২০, ২৩:৩৭

জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনের সঠিক নির্দেশনার কারণে শিবচরে করোনার প্রভাব যেভাবে হওয়ার কথা ছিল তা হতে পারেনি বলে জানা গেছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে অনেকেই ধারণা করেছিলো এই নদীবন্দরের নিকটবর্তী অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এই সংক্রামক রোগটি। কিন্তু জাতীয় সংসদের চীফ হুইপের নির্দেশনায় স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের সহায়তায় এই অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সঠিকভাবে খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়।

চীফ হুইপের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন খান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান, সহকারী কমিশনার ভূমি এম রকিবুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. আবির হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ, শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল লতিফ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইলিয়াস পাশা, সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক মুন্সীসহ সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিরা, জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিনরাত কঠিন পরিশ্রম করার ফলে দেশের প্রথম লকডাউন হাওয়া সত্ত্বেও আজ করোনার প্রভাব নেই বলেই চলে। 

সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে খাবার সহায়তা প্রসঙ্গে চীফ হুইপ বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে, মানুষকে ঘরে রাখতে হলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে । মানুষ যে কেনাকাটা করে খাবে তার ব্যবস্থাও থাকবে না। তাই পাশাপাশি আমরা মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করি। তার কিছুদিন পরই আমি শিবচরে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এফডব্লিউসি, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং প্রাইভেট ক্লিনিকসহ সব বিভাগে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম দেই। যেন মানুষ গ্রামে বসেই চিকিৎসা পায় এবং তাদের আর্থিক সমস্যা দূর করার জন্য খাবার সহায়তা আমরা ধাপে ধাপে পৌছে দেই। আমাদের এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গন এবং বন্যা কবলিত এলাকার। সব সময়ই কিন্তু তারা দূর্যোগ মোকাবেলা করে। সেই আলোকে মানুষ কিন্তু অনেক সহযোগিতা করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার আলোকে জনগণ যদি আমাদের  সহযোগিতা না করত তাহলে এটা সম্ভব হতো না। 

এদিকে করোনা সংকট মোকাবেলায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভারের শুরু থেকেই জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, অসহায় দুঃস্থ সহ নানা শ্রেণির পেশার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মানবিক সহায়তা উপহার ও চীফ হুইপের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত প্রত্যেকটি পরিবারের ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার সহায়তা ও ঈদ উপহার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে এবং ধারাবাহিকভাবে ভিজিএফ চাল বিতরণ, মৎসজীবীদের মাঝে চাল বিতরণসহ বর্তমানে  স্বল্প মূল্যে ১০ টাকায় চালও বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও চীফ হুইপের নির্দেশনায় পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. তোফাজ্জেল হোসেন তোতা খান, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মানবতার ফেরিওয়ালা মোহসেন উদ্দিন সোহেল বেপারী, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান দুলাল বেপারী, মাদবরেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আ: হালিম রাঢী, কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো: সজিব হাওলাদার ছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন তাদের নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করেছেন। করোনা শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের নিউজ কভারেজ দিয়েছেন ইত্তেফাকের সাংবাদিক প্রণব কুমার সাহা অপূর্ব।  

অপরদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা সময়ে প্রথম থেকেই অব্যাহত রেখেছেন আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ লকডাউন, সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও সচেতনতাসহ নানা উদ্যোগ। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পথে ঘাটে মাঠে নানা তদারকিসহ নানা স্থানে চেকপোষ্ট। বেদেপল্লীসহ বিভিন্ন স্থানে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। 

এ ছাড়াও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীব ঢালী, সাধারন সম্পাদক আসিফ হোসেন মাদবর, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব বেপারী, সাধারন সম্পাদক সৌরভ রায় ও ভিপি শাওন ইসলাম নিরলসভাবে কাজ করছে।

ইত্তেফাক/আরএ