'হামাক ভাল থুইছে আশীর্বাদ করি সৃষ্টিকর্তাও শেখ হাসিনাক ভাল থুক। আগত ভাঙ্গা ঘরোত আছিনো। এলা পাকা ঘরোত থাকি'- মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ঘর পেয়ে এভাবেই মনের কথা প্রকাশ করছিলেন নোহালী ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র কুমো বালা।
কুমো বালার জীবনের পড়šত বেলা।বয়স এখন আশি বছর। সুখ জোটেনি কপালে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। স্বামী কান্দুরা মারা গেছে ২০ বছর আগে। সংসারে ৩ ছেলে ২ মেয়ে। তিন ছেলেই আলাদা খায়। এদের মধ্যে ইরিন ও গিরীন কুমিল্লা গেছে কাজে। আর বড় ছেলে বিরেন এখন অসুস্থ। কুমো বালা এখন ছেলেদের ভাগের অংশ। এক মাসে ১০ দিন করে ভাগ করে নিয়েছে তিন ছেলে। কষ্ট যাই হোক ঘর পেয়ে খুবেই খুশি কুমো বালা। কল্পনাও করতে পারেনি এমন একটি ঘর পাবে সে। যেন হাতে চাঁদ পেয়েছে কুমো বালা।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় একটু আরামে ঘুমাতে পারছে এতেই শান্তি। কুমো বালার মত জীবনের শেষ বেলায় দাঁড়িয়ে বুলো বৈষ্টমী রানী। খুবেই অসুস্থ। সাথে ছেলে মেয়ে কেউ নেই। শুধু নাতি একমাত্র ভরসা। প্রতিবন্ধী প্রতিমাও খুবই খুশি। তার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে তার অভাবী বাবা মা। কুমো, বৈষ্টমী আর প্রতিমার মত ১০টি অভাবী ও দুস্থ পরিবার পেয়েছে এ পাকাঘর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এর অধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে এসব ঘর।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলীমা বেগমের পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে নোহালী ইউনিয়নের কাচারী পাড়া এলাকায় ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি পাকা ঘরে রয়েছে দুটি রুম।
ইত্তেফাক/আরএ