বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তাড়াশে কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের আবেগঘন সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেট : ০৪ জুন ২০২০, ১০:৫৮

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. বিউটি পারভীন। মহামারী করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই যিনি সকাল থেকে রাত অবধি বেশিরভাগ রোগী একাই দেখে থাকেন। অথচ এতদিনে তাকে মাত্র একটি পিপিই দেওয়া হয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতন দীর্ঘ ৫ মাস আটকে রাখা হয়। মে মাসের বেতনও অন্যসব কর্মকর্তা-কর্মচারী উত্তোলন করতে পারলেও এখনও তিনি উত্তোলন করতে পারেননি। এসব কথা বলতেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন! 

(৩ জুন) বুধবার বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরী হলরুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ওই কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. বিউটি পারভীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া শোভনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেন, হাই কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিসার বদলি কমিটি রংপুরের কাউনিয়া টেলা মধুপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে তাকে এ বছর জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করেন। অথচ হাই কোর্টের রায়কেও অমান্য করে স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা বলেন “ টাকা হলে হাই কোর্টের রায় পাওয়াই যায়। আমি রায় মানি না।” শেষ পর্যন্ত দশ দিন হয়রানীর পর তার যোগদান গ্রহণ করা হয়।  

ভুক্তভোগী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. বিউটি পারভীন এও বলেন, (২ জুন) মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া শোভন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। যেখানে তিনি (কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছা. বিউটি পারভীন) উপস্থিত ছিলেন। অথচ সেই সাংবাদিক সম্মেলনেও তাকে নিয়ে মানহানীকর মন্তব্য করা হয়। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা মো. জামাল মিয়া শোভন দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।

ইত্তেফাক/এমআর