শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খুলনায় একদিনে পুলিশসহ ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত

আপডেট : ০৫ জুন ২০২০, ০৯:৫১

খুলনায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যসহ ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ৩০ জনই খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা। যা এখনও পর্যন্ত একদিনে করোনা সংক্রমণের নিরিখে রেকর্ড। এর আগে খুমেকের পিসিআর মেশিনে সর্বোচ্চ ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল। যার মধ্যে খুলনায় ছিলো ২৬ জন। বৃহস্পতিবার  রাতে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করা হয়

খুমেকের উপাধ্যাক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুমেকের পিসিআর ল্যাবে বৃহস্পতিবার ১৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ১৪১ টি। নমুনা পরীক্ষার পর ৩৫ টি পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। যার মধ্যে খুলনা মহানগরীর ৩০টি, যশোরের ৪ টি ও ঢাকার ১টি।

বৃহস্পতিবার খুলনা মহানগরীর করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীরা সকলে আলাদা আলাদা এলাকার বাসিন্দা। বিশেষ করে আক্রান্তরা নগরীর ছোট বয়রা, বয়রা, সোনাডাঙ্গা,  ময়লাপোতা, খালিশপুর, হরিণটানা, গোবরচাকা, সিঅ্যান্ডবি কলোনি ও হাজী মুহসীন রোডের বাসিন্দা। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে জেলা পুলিশ সদস্য, মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্য ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা রয়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার খুলনা মহানগরীর ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তারা নগরীর ছোট বয়রা, নিউ মার্কেট, খান এ সবুর রোড (পুরাতন যশোর রোড), দৌলতপুর, ক্রিসেন্ট কলোনি ও কেডি ঘোষ রোড এলাকার বাসিন্দা।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় ১৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরীর মধ্যে রয়েছে ৯২জন। এছাড়া দিঘলিয়ায় ২৪জন, রূপসায় ১৩ জন, ডুমুরিয়ায় ৭ জন, দাকোপে ৬ জন, বটিয়াঘাটায় ৩ জন, তেরখাদায় ৩ জন, ফুলতলায় ২ জন পাইকগাছায় ১ জন ও কয়রা উপজেলায় ১ জন। এদিকে, খুলনায় করোনা  আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। যার মধ্যে রূপসায় ৩ ও দিঘলিয়া উপজেলায় ১ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৭ জন। পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১২২ জন। সন্ধ্যায় খুমেকের পিসিআর ল্যাবে আরও ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে খুলনা মহানগরীর বাসিন্দা। এদের প্রত্যেকের বাড়ি পৃথক পৃথক এলাকায়। এখন চিন্তার বিষয় আসলে কত জনের বাড়ি লকডাউন করা যাবে।

ইত্তেফাক/এমআরএম